রতিবেশীদের একত্রে কাজ করার আহবান জানালেন মোদি

প্রতিবেশী দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘সার্কের সবাই মিলে আমরা অন্তত দারিদ্র্য দূরীকরণের চেষ্টা করতে পারি। এই সমস্যা আমাদের সবার।’

১৫ আগস্ট শুক্রবার ভারতের ৬৮তম স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেওয়া প্রথম ভাষণে এই কথা বলেন।

পূর্বসূরিদের তুলনায় মোদির এই ভাষণ অনেক দিক থেকেই ছিল অন্য রকম। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পর মোদির এই ভাষণ দ্বিতীয় দীর্ঘতম। এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীকে লিখিত ভাষণ পাঠ করতে দেখল না দেশবাসী।

পাকিস্তানের উদ্দেশে বললেন, সংঘাতে না গিয়ে শান্তির পথে থাকাই শ্রেয়। মোদি বলেন, ‘সংঘাত কেন? আমরা তো একই সঙ্গে স্বাধীনতার লড়াই লড়েছি?’

ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর লাল কেল্লায় প্রধানমন্ত্রীকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে রাখা হতো একটি বুলেটপ্রুফ ঘেরাটোপ দিয়ে। মোদি তা হটিয়ে দিলেন। ফি বছর এই অনুষ্ঠানে শুধু আমন্ত্রিতরাই আসতেন। মোদির নির্দেশে সাধারণকেও আসার অনুমতি দেওয়া হলো এই প্রথমবার। এলেন অন্তত ১০ হাজার আম আদমি। মোদির পরনে ছিল হাফ হাতা ক্রিম রঙের পাঞ্জাবি ও পায়জামা। সেই সঙ্গে পরেছিলেন গেরুয়া রঙের একটা প্রিন্টেড পাগড়ি, যার নিচের দিকটায় ছিল সবুজ প্রিন্ট। অর্থাৎ সচেতনভাবেই মোদির শরীরে এদিন ছিল তে-রঙার ছাপ। ভোটের পরে তিনি বারবার যে কথা বলে এসেছেন, আজ সে কথাই তিনি মনে করিয়ে দেন।

মোদি বলেন, ‘আমি সবাইকে নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশ চালাতে চাই। মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন বলে নিজের ইচ্ছেমতো দেশ চালাব না।’ আর বলেন, ‘আমি নিজেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী মনে করি না। মনে করি আমি দেশের প্রধান সেবক।’



মন্তব্য চালু নেই