যে সাত দেশ সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রপ্তানি করে
বিশ্বজুড়েই কেমন যেন একটা যুদ্ধ-যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কার কাছে কত দামি এবং মারণাস্ত্র আছে, সেই শক্তি পরীক্ষা দিতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছে এক একটা দেশ। আর এই প্রতিযোগিতার বাজারে একটা শ্রেণি অস্ত্র ব্যবসা করে কোটি কোটি ডলার-ইউরো-পাউন্ড কামিয়ে নিচ্ছে।
সেই নিয়েই শান্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রি আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে অস্ত্র বিক্রিতে এক নম্বর অবস্থানে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই সমীক্ষা নিরিখে প্রথম সাতটি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যারা দুর্বল দেশগুলির কাছে যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করে আঙুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। সেই তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে কোন দেশ কার কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে।
১. আমেরিকা
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত পাঁচ বছরে বিশ্বজুড়ে বিক্রি হওয়ায় অস্ত্রের ৩৩ শতাংশ সরবরাহ করেছে এই দেশ। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তুরস্ক তাদের রফতানি করা অস্ত্রের মূল ক্রেতা।
২. রাশিয়া
বিশ্বের অপর সামরিক শক্তিধর রাশিয়ার দখলে আছে আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাজারের ২৫ শতাংশ। দেশটিতে উৎপাদিত অস্ত্রের মূল ক্রেতা ভারত। চীন এবং ভিয়েতনামও রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে নিয়মিত।
৩. চীন
পরিমাণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কাছাকাছি না হলেও তিন নম্বরে অবস্থান করছে লাল-চীন। বিশ্বের অস্ত্র বাজারের ৫.৯ শতাংশ তাদের দখলে। ক্রেতা পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার।
৪. ফ্রান্স
চীনের পরেই ফ্রান্সের অবস্থান। গত কয়েক বছরে বিক্রি হওয়া অস্ত্রের ৫.৬ শতাংশ তৈরি করেছে এই দেশ। তবে লক্ষণীয় হল, ফ্রান্সের অস্ত্র রপ্তানির পরিমান আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। মূলত মরক্কো, চীন এবং মিশর এই দেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করে।
৫. জার্মানি
জার্মানির অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ সিপ্রির হিসেবে গত দশকের তুলনায় অনেক কমেছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারের ৪.৭ শতাংশ তাদের দখলে আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং গ্রিস জার্মানির মূল ক্রেতা।
৬. যুক্তরাজ্য
অস্ত্র বিক্রির বাজারে যুক্তরাজ্যের অবস্থান ষষ্ঠ। সংখ্যার হিসেবে ৪.৫ শতাংশ। মূলত সৌদি আরব, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাজ্য থেকে অস্ত্র আমদানি করে।
৭. স্পেন
স্পেনের দখলে আছে অস্ত্র বাণিজ্যের ৩.৫ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব এবং তুরস্ক অস্ত্র আমদানি করে স্পেন থেকে।
সূত্র: কলকাতা ২৪
মন্তব্য চালু নেই