যে গ্রামের সুন্দরীরা ডাকছে আপনাকে
১৮৯০ সালে এক মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়। এরপরই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তিনি চলে আসেন দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের নোইভা ডো করডেরিয়ো গ্রামটিতে। ১৮৯১ সালে এই গ্রামের পত্তন করেন সেই মেয়ে মারিয়া সেনহোরিনা ডে লিমা। এ সময় এই এলাকায় শুধু একটি চার্চ ছিল।
অনেক নারী গ্রামের সন্ধান পাওয়ার পর তারাও সেখানে এসে বসবাস করতে শুরু করেন। চার্চের লোকেদের সঙ্গে মিলে ঘর-বাড়িও তৈরি করে ফেলেন তারা। যারা বিয়ে করতেন চান না তারা সিঙ্গেল মাদার, আবার যারা একা থাকতে চান তারা এই গ্রামে বাস করেন।
নোইভা ডো করডেরিয়ো এখন এমন একটি গ্রাম যেখানে শুধু সুন্দরী নারীরাই বাস করেন। কোনো পুরুষ নেই এই গ্রামে। তবে এই প্রথমবার গ্রামের সুন্দরীরা পুরুষদের ওই গ্রামে যেতে আহ্বান জানিয়েছে। কারণ বিয়ে করে কোনো সুন্দরী গ্রাম ছেড়ে যেতে চান না। তাই তারা এমন সঙ্গী চান যারা বিয়ের পর ওই গ্রামেই থাকবে।
এ গ্রামের বাসিন্দা ৬শরও বেশি নারী ও তরুণী। তারা সবাই সুন্দরী। এর মধ্যে কয়েকজন শুধু বিবাহিত। তাও আবার সপ্তাহ শেষে ২ দিনের জন্য শুধু তাদের স্বামীরা গ্রামে আসেন। এবার ৩শ তরুণীর যোগ্য পুরুষদের বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শর্ত একটাই, যে পুরুষ ওই গ্রামে তাদের সঙ্গে থাকতে রাজি তাদেরকেই বিয়ে করবেন সুন্দরীরা।
চাষসহ প্রয়োজনীয় সব কাজই নিজেরা করে এখানকার নারী এবং তরুণীরা। তাদের প্রধান পেশা কৃষি।
৪৯ বছর বয়স্ক রোজালি ফার্নান্ডেজ বলেন, ‘এখানে কেউ কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে না। এখানে সবাই একে অপরের জন্য। নিজেদের মধ্যে যখনই কোনো সমস্যা হয়, তখন আমরা মিলে আমাদের মতো করে তা মিটিয়ে নেই। আমরা একে অপরের কাছে সবকিছুই শেয়ার করি। এমনকি প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাপড় ব্যবহার পরতে পারি, প্রত্যেকের চুল বেঁধে দেই।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি গ্রামের সব নারীরা মিলে কমিউনিটি সেন্টারের জন্য ওয়াইড স্ক্রিন টিভি কিনেছি। সেখানে আমরা সবাই মিলে টিভি দেখি এবং আনন্দ করি।’
২৯ বছর বয়সী এলিডা ডেইজি বলেন, ‘আমরা সব সময় পরিদর্শকদের পছন্দ করি। তাদেরকে আমরা ভালোভাবেই গ্রহণ করি। আমাদের মধ্যে অনেকেই ফরাসী ভাষায় কথা বলতে পারে। সুতরাং বিদেশি পরিদর্শকদের সঙ্গে কথা বলতে কোনো সমস্যা হয় না।’
তিনি আরো বলেন, ‘১০ বছর আগে চিলি থেকে এক পুরুষ পরিদর্শক আমাদের গ্রামে এসে এক নারীকে বিয়ে করেন। তারা এখন এ গ্রামেই থাকেন।’
মন্তব্য চালু নেই