যে গ্রামের নারীরা জানে সব সমস্যার সমাধান
সন্তান ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদছে কিন্তু ঘরে খাবার নেই। চোখের সামনে সন্তানের ক্ষুধার্থ মুখ কজন বাবা-মা মেনে নিতে পারেন? বিশেষ করে মায়ের পক্ষে এমন দৃশ্য সহ্যাতীত। শুধু কি সন্তান? দেখা যাচ্ছে পরিবারের একমাত্র কন্যাসন্তান সে, তার ওপরই আবার সংসারের দায়িত্ব, লেখাপড়া জানা নেই, ঘরে খাবার নেই, ক্ষেতে ফসল নেই- এমতাবস্থায় কী করবে সে? আবার এমন ঘটনাও আছে, বিয়ের পর স্বামী ছেড়ে দিয়েছে, বাবা-মা গরিব, কোথায় ফিরবে সেই বধূ? কীভাবে কাটবে তার বাকি জীবন? সব প্রশ্নের উত্তর যেন খুঁজে পেয়েছেন সে গ্রামের নারীরা।
গ্রামের নাম অনন্তপুর। সেই গ্রামের নারীদের দুঃখ যেন অনন্তকাল ধরেই চলছে। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যে এর অবস্থান। এই গ্রামের প্রায় সব নারীই পতিতাবৃত্তির খাতায় নাম লিখিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে। বৃষ্টির অভাবে এ গ্রামে ফসল ফলে না। পরিবারের ভার বহন না করতে পেরে স্বামী অন্যত্র চলে গেছে। তাই তাদের আর কোনো সম্বল নেই। সম্বল বলতে এখন শুধু আছে শরীর।
এ গ্রামেরই মেয়ে রমা দেবী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুরুতে খুব কষ্ট হতো। কিন্তু পেটের ছেলেটা যখন খিদের জ্বালায় মরাকান্না কাঁদত, তখন বড় অসহায় লাগত। এখন আর কিছু মনে হয় না। এ কাজ করে আর্থিক অবস্থারও কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। মাস শেষে এখন অন্তত ৩ হাজার রুপি আয় হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘তবে মাঝে মাঝে খদ্দেরের অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এই সমাজে আমরা উপেক্ষিত। আর যাদের জন্য এই জীবন বেছে নিয়েছি এই ছেলেমেয়েরাও হয়তো একদিন আমাদের ভুল বুঝবে। আর সরকারেরও এ বিষয়ে কোনো হুঁশ নেই।’
মন্তব্য চালু নেই