যে কারণে ইরানে একটি গ্রামের সব পুরুষের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে

মাদকপাচারের অপরাধে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের একটি গ্রামের প্রাপ্তবয়স্ক সব পুরুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইরানের নারী ও পরিবারবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহিনদোখত মোলাভারদিরের একটি সাক্ষাতের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ইরানের আধা সরকারি বার্তাসংস্থা মেহেরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি প্রকাশ করেন শাহিনদোখত মোলাভারদির। মাদকপাচারের জন্য ইরানের বহু মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়- দেশটির ঊর্ধ্বতন একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে পাওয়া এমন মন্তব্য খুবই বিরল।

সাক্ষাৎকারে শাহিনদোখত বলেন, ‘সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশে আমাদের একটি গ্রাম রয়েছে, সেখানে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে।’

তবে কখন, কোথায় ও কতজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তা জানাননি তিনি। তাদের পরিচয়ের ব্যপারেও কিছু বলা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘এসব মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে এবং সংসার চালাতে তাদের সন্তানেরাও মাদক ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারে। সেখানে ওই সব লোকদের কোনো সহায়তা করা হয় না।’

ইরানের এ ভাইস প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেন, অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া যেমন সমাজের দায়িত্ব, তেমনি মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পরিবারের দেখভাল করাও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

শাহিনদোখত বলেন, প্রেসিডেন্ট রুহানি প্রশাসনের উচিত দেশের জাতীয় উন্নয়নের অংশ হিসেবে পরিবারকে সহায়তা করার জন্য আগের গৃহীত প্রকল্প ফিরিয়ে আনা।

লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনর অ্যামনেস্টি তথ্যমতে, কয়েক বছর ধরে বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া দেশের মধ্যে ইরান শীর্ষে। এরপর চীন, সৌদি আরব।



মন্তব্য চালু নেই