যেমন আছে শূণ্যে বসতকারীরা
কথাটা অবাক করার মতোই। শূণ্যে আবার বসবাস করা যায় নাকি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, শূণ্যে বসবাস করার কৌশলটা আপনিও রপ্ত করতে পারবেন যেমনটা করেছে ইতালির কিছু তরুন তরুনী। তবে এরজন্য চাই নিবিঢ় প্রশিক্ষন আর দুর্দান্ত সাহস। ২০১২ সাল থেকে মূলত তাদের শূণ্যে বসবাস করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথমদিকে কিছুটা সমস্যা হলেও পরবর্তী সময়ে সকল সমস্যার অবসানন ঘটিয়ে তারা সক্ষম হয় শূণ্যে বাস করতে। শূণ্যে বাস করার বিষয়টি পাঠকের কাছে দুবোর্ধ্য মনে হতেই পারে, তাই কিছু ছবি দেয়া হলো বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য।
ইতালির একদল অ্যাথলেট বিভিন্ন দুর্গম স্থানে নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে হাজার ফুট উচুতে পাহাড়ের মাঝখানের শূণ্যে বাস করা এখন তাদের কাছে অনেকটাই নেশার মতো। আর একাজে তারা ব্যবহার করছেন স্রেফ দড়ি ও হার্নেস। সম্প্রতি তারা ইতালির মন্তে পিয়ানা এলাকার দুর্গম পাহাড়ের মধ্যিখানের শূণ্যস্থানে বাস করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যে উচ্চতায় তারা বসবাস করে সেই উচ্চতায় বাস করা স্বাভাবিক মানুষের জন্য বেশ কষ্টকর। যেকোনো মুহূর্তে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ কিংবা নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই উচ্চতায় বাস করতে গেলে সবার আগে চাই নির্দিষ্ট কিছু প্রশিক্ষন এবং শারিরীক যোগ্যতা।
বিশ্বের বেশিরভাগ দুর্গম স্থানে ইতোমধ্যেই তারা কসরত দেখিয়ে ফেলেছেন। তাদের আগে ফ্র্যাঙ্কোসিস গ্রাভেলেট এবং চার্লস ব্লোন্ডিন নায়াগ্রা জলপ্রপাতের উপরে মাত্র তিন ইঞ্চি মোটা এগারশো ফুট দীর্ঘ দড়ির উপর হেটে এবং বাস করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সেই ১৮৫৯ সালে। এরপর দীর্ঘসময় সেই রেকর্ড কারও পক্ষে ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয় ব্লোন্ডিন ওই তিন ইঞ্চি মোটা দড়ির উপর দিয়ে কাধে একজন মানুষ নিয়েও হেটেছিলেন যা এককথায় ভয়ানক ব্যাপার।
ইতালির বর্তমান এই দলটি ব্লোন্ডিনের করা রেকর্ডটি ভাঙ্গার সব রকমের চেষ্টাই করছেন। হয়তো তারা দ্রুত সফলও হবেন। কিন্তু একশো বছরের বেশি সময় ধরে রেকর্ড টিকিয়ে রাখা সত্যিই দুর্দান্ত এক ব্যাপার।
মন্তব্য চালু নেই