যেভাবে শীঘ্রই হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

যেকোনো সময় সামান্য একটু ‘স্ফুলিঙ্গ’-তেই শুরু হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! এটি আজ বা কাল যেকোনো সময়েই ঘটতে পারে। আর একবিংশ শতাব্দীর এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জোট ন্যাটোর প্রতিপক্ষ হতে পারে চীন ও রাশিয়া।

গত দুই দশক ধরে লন্ডন ও ওয়াশিংটনের যুদ্ধের ক্ষেত্রে সিয়েরালিওন, বসনিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান আর বর্তমানে সিরিয়া। তবে আবার বিশ্ব পটভূমিতে ফিরে এসেছে শক্তি প্রদর্শনের রাজনীতি।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর যুদ্ধে জড়ানোর আশঙ্কা বেড়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের পর চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধের শঙ্কা অনেকটাই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে আবার ফিরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র জোট ও এই রাষ্ট্রগুলোর বিরোধ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ছোট একটি বিরোধ বা মতপার্থক্য থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা রয়েছে।

পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সবশেষ বিরোধ দেখা দিয়েছে রাশিয়ার বোমা হামলাকে কেন্দ্র করে। সিরিয়ায় হামলা চালাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত কয়েকটি দেশের ওপর দিয়ে উড়েছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান।

এমন ঘটনার কারণে যেকোনো সময় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিমানযুদ্ধের শঙ্কা আছে। সিরিয়ার আকাশসীমা বিভিন্ন দেশের যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমানে ভরে গেছে। বোমা ফেলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানের খুব কাছ দিয়ে উড়ছে। আবার মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে থাকা সাগরেও ন্যাটো ও রাশিয়া নৌসেনা মোতায়েন করেছে। যেকোনো সময় অতিসাধারণ কারণ নিয়েও এদের মধ্যে সংঘাত শুরু হতে পারে।

আবার কোনো সামরিক কারণ ছাড়াই বিশ্বকে নতুন রূপ দিতে যুদ্ধ হতে পারে। এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের নেতৃত্বদানকারীর অবস্থান থেকে সরাতে চায়। চীনের অর্থনীতিও দেশটির এমন স্বপ্নকে সমর্থন দেয়ার মতো অবস্থানে আছে।



মন্তব্য চালু নেই