যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইয়েমেনের হুতিরা

মানবিক কারণে সৌদি আরবের প্রস্তাবিত ৫ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইয়েমেনের শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা। তবে এ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হলে কড়া জবাব দেওয়া হবে বলে সৌদি আরব ও হুতিরা একে অপরকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে হুতি পলিটিক্যাল কাউন্সিল জানায়, ইয়েমেনি জনগণের দুর্দশা লাঘবের যেকোনো প্রচেষ্টা তারা ‘ইতিবাচকভাবে’ গ্রহণ করবে। যত দ্রুত সম্ভব ইয়েমেনি নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান করতেও তারা রাজি রয়েছে।

একইসঙ্গে তারা জানায়, ইয়েমেনে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচয়া বসতে চায়। তবে সৌদি আরব ও তাদের উপসাগরীয় জোটের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও আলজাজিরার কাছে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন বিদ্রোহী নেতারা।

হুতি বিদ্রোহীরা রাজি থাকলে মঙ্গলবার থেকেই যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে বলে গত শুক্রবার জানিয়েছিল সৌদি আরব। যুদ্ধবিরতির সময়টিতে ত্রাণের জন্য মরিয়া মানুষের কাছে খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের পথ সুগম হবে।

ইয়েমেনে পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দু-রাব্বু মনসুর হাদির শাসন পুনরপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আলি-আবদুল্লাহ সালেহর অনুগত বাহিনী ও হুতিদের ওপর গত ২৬ মার্চ থেকে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরব।

হুতি-সমর্থিত সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল শারাফ লুকমান রোববার বলেছেন, `ইয়েমেনি বাহিনী যুদ্ধবিরতিতে রাজি। তবে রণক্ষেত্রে হাদির অনুগত বাহিনীর যে কোনো হামলার জবাব দেয়া হবে।’

হুতিরা বলছে, ইয়েমেনে আল-কায়েদা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে পরাজিত করাই তাদের লক্ষ্য। হাদির বাহিনী আল-কায়েদা গোষ্ঠীকে মদদ দিয়ে আসছে বলে হুতিদের অভিযোগ।

সৌদি সামরিক বাহিনী ইয়েমের দক্ষিণ সীমান্তে হুতিদের ঘাঁটিগুলোতে বিমান হামলাসহ গোলা হামলা এবং সাদা প্রদেশে একের পর এক রকেট হামলা চালানোর পর হুতিরা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলো।

তথ্যসূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি।



মন্তব্য চালু নেই