যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ মুসলিম নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যাপেল হিল ক্যাম্পাসে এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন তিন মুসলিম শিক্ষার্থী। স্থানীয় মুসলিম নেতারা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দেশটিতে গত কয়েক বছর ধরে গড়ে ওঠা মুসলিম বিরোধী মনোভাবকে দায়ি করেছেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বুধবার ক্রেইগ স্টেফেন হিকস নামে ৪৬ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে চ্যাপেল হিল পুলিশ বিভাগ।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করেছে পুলিশ। তারা হলেন, চ্যাপেল হিলের বাসিন্দা ডেহ স্যাডি বারাকাত, তাঁর স্ত্রী ইউসোর আবু-সালহা ও বোন রাজন আবু-সালহা। পুলিশ এসব হত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি। তবে তারা বলছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ৫:১১ মিনিটের দিকে তারা ক্যাম্পসে বন্দুক হামলার খবর পায়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মারা গিয়েছিল ওই তিন জন।
এদিকে নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, তাদের ডেন্টাল স্কুলের ছাত্র বারাকাত দ্বিতীয় বর্ষে পড়ত। তার স্ত্রীও একই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এছাড়া তার বোন রাজন আবু-সালহা গত ডিসেম্বরে এখান থেকে গ্রাজুয়েট করেছিলেন।
পুলিশের ওয়েবসাইটে হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করা হলেও হত্যার কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নেতা কেয়ার ন্যাশনালের এক্সিকিউটিভ ডিরেকটর নিহাদ আওয়াদ এক বিবৃতিতে বলেছেন,‘এই অপরাধের নৃশংস প্রকৃতি এবং কথিত অপরাধীর ধর্ম বিরোধী বিবৃতি এই ইঙ্গিত দেয় যে, আমেরিকান সমাজে ক্রমবর্ধমান মুসলিম বিরোধী প্রচারণার ফসল এ হত্যাকাণ্ড।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এবং অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের প্রতি এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই