যুক্তরাজ্যে সিলেটের রুশনারার ইতিহাস গড়ার দিন আজ

যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। নির্বাচনে এবারই প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চসংখ্যক বাংলাদেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ১২ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী লড়ছেন। এর মধ্যে ১০ জনই হচ্ছেন সিলেটের।

এই ১২ জনের মধ্যে ব্রিটেনে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সংসদ সদস্য হওয়া সিলেটের বিশ^নাথের রুশনারা আলীও রয়েছেন। এবার তার জন্য সুযোগ এসেছে নতুন ইতিহাস গড়ার। নির্বাচনে জিতলে লেবার পার্টি থেকে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রুশানারা আলীর। আর তা যদি হয়, তবে তিনিই হবেন যুক্তরাজ্যে প্রথম বাংলাদেশি মন্ত্রী।

এবার যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১২ বাংলাদেশি হচ্ছেন লেবার পার্টির টিউলিপ রেজওয়ানা, রুশনারা আলী, ব্যারিস্টার আনোয়ার বাবুল মিয়া, আমরান হোসাইন, ড. রূপা আশা হক, আলী আখলাকুল, ফয়ছল চৌধুরী, মেরিনা আহমেদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির আশুক আহমদ, প্রিন্স সাদিক আহমদ, মোহাম্মদ সুলতান ও কনজারভেটিভ পার্টির মিনা রহমান। এর মধ্যে টিউলিপ এবং মেরিনা ছাড়া বাকি সব প্রার্থীই সিলেটের।

এদের মধ্যে রুশনারা আলী ব্যতিক্রমী অবস্থানে রয়েছেন। ২০১০ সালে হাউস অব কমন্সে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রুশনারা। তিনি লেবার পার্টির শ্যাডো মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন।

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে অংশ নেওয়া সিলেটি প্রার্থীদের মধ্যে এবারও সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন লেবার পার্টির হয়ে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে প্রার্থী হওয়া রুশনারা আলী। ১৯৭৫ সালে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ভুরকি গ্রামে জন্মগ্রহণকারী রুশনারা ৭ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে ব্রিটেনে পাড়ি জমান। ইরাকে সামরিক হামলায় লেবার পার্টি সমর্থন দেওয়ায় শ্যাডো মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে আলোচিত হন রুশনারা।

এবার আরো বড় সুযোগ এসেছে রুশনারা আলীর সামনে। নির্বাচনে যদি জয়ী হতে পারেন এবং তার দল লেবার পাটি যদি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন, তবে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ সা¤্রাজ্যে বাংলাদেশি হিসেবে মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রুশানারার। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এবার সে আশায় বুধ হয়ে আছেন। নির্বাচনী জরিপও বলছে, সংসদ সদস্য হওয়ার দৌড়ে বেশ এগিয়েই রয়েছেন রুশনারা।

তবে মন্ত্রিত্বের কথা ভাবছেন না রুশনারা আলী। গণমাধ্যমে তার মন্তব্য হচ্ছে, ‘এখন আমার সামনে কেবল নির্বাচন। দল ক্ষমতায় গেলে দলের নেতৃত্ব যদি যোগ্য মনে করে তবেই প্রশ্ন মন্ত্রিত্বের। এ ব্যাপারে এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’



মন্তব্য চালু নেই