মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে খোদ ভারতের কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক৷ ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে রক্ষা পেতে ফোন ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রকের পরামর্শ, ‘মোবাইল ছেড়ে ব্যবহার করুন ল্যান্ডলাইন ফোন৷ তবে, অবশ্যই তারযুক্ত৷

মোবাইল ফোন এবং মোবাইল টাওয়ার থেকে উৎপন্ন বিকিরণ যে মানবজাতি এবং সভ্যতার চরম ক্ষতি করছে, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রণালয়৷ এ বার্তা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে কোটি কোটি টাকাও খরচ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ নয়াদিল্লির এই প্রচারে জনমনে বেশ চাঞ্চল্যও ছড়িয়ে পড়েছে৷

কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়, মোবাইল সংস্থাগুলোর বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (বিটিএস) এবং মোবাইল সেট থেকে যে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড উৎপন্ন হয়, তা মানব শরীরের জন্যে ক্ষতিকারক৷ এজন্য বছর দুই আগেই মন্ত্রকের পক্ষ থেকে মোবাইল সার্ভিস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিটিএস থেকে যেনো ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড কম উৎপন্ন হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।বিকিরণের মাত্রাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ একই নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে মোবাইল সেটের ক্ষেত্রেও৷

শুধু নির্দেশিকা জারি করেই নয়, মোবাইল ব্যবহারকারীদের সচেতন করে বিজ্ঞাপনও দিয়েছে দেশটির টেলিকম মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, মোবাইল ব্যবহার করলে ক্যানসার হয়, মস্তিষ্কের ক্ষতি করে, এমন যে সব তথ্য প্রচলিত আছে এসবের বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই৷ তবে, মোবাইল টাওয়ার এবং সেট থেকে সৃষ্ট বিকিরণ মানব শরীরের পক্ষে সহায়ক নয়৷

রীতিমতো বিজ্ঞাপন এবং নির্দেশিকা জারি করে দেশবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে৷ মন্ত্রকের পরামর্শ, মোবাইল সেট শরীর থেকে দূরে রাখুন৷ হ্যান্ডসেটটি মাথা থেকে দূরে রাখতে ব্লুটুথ অথবা তারযুক্ত হেডসেট ব্যবহার করুন৷ মোবাইল হ্যান্ডসেটটি মাথার সঙ্গে লাগিয়ে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে৷ কারণ, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) এনার্জি সোর্স থেকে দূরত্ব অনুসারে কম হয়৷ মোবাইল কলের সীমা সীমিত রাখুন৷ অর্থাৎ মোবাইলে কথা কম বলুন৷

আরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, যতটা সম্ভব ভয়েস কলের পরিবর্তে এসএমএসে কথাবার্তা চালাতে৷ রেডিও সিগন্যাল অপর্যাপ্ত হলে,  মোবাইল ফোনের ট্রান্সমিশন পাওয়ার বেড়ে যায়৷

সচেতনতামূলক বার্তায় আরও বলা হয়েছে, যদি সুযোগ থাকে, তা হলে মোবাইলের পরিবর্তে তারযুক্ত ল্যান্ডলাইন ফোন ব্যবহার করুন৷