মেট্রোরেলের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

আগামী ২০১৯ সালে ঢাকা মহানগরীতে মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,স্বপ্নের প্রকল্প মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের প্যাকেজ-৮ এর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। গত শুক্রবার সম্ভাব্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে প্রাকযোগ্যতা যাচাইয়ে এ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়।

রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্যাকেজ-৮ এর আওতায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রোলিং স্টক এবং ডিপো ইক্যুপমেন্ট ও ডিপো রোলিং স্টক সংগ্রহ হবে। এর আওতায় যাত্রা বিরতিতে ট্রেন রাখার স্থান, মেট্রোরেল প্ল্যান্ট, ওয়ার্কশপ, অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্যাকেজ-৭ এর প্রাকযোগ্যতা যাচাইয়ে দরপত্র এবং প্যাকেজ-১ এর আন্তর্জাতিক দরপত্র ফেব্রুয়ারিতেই আহ্বান করা হবে। ২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ১৬টি স্টেশন নির্মাণের লক্ষ্যে প্যাকেজ-৩, ৪, ৫ ও ৬ এর প্রাকযোগ্যতা যাচাইয়ের দরপত্র এ বছরের মে মাসে আহ্বান করা হবে। ডিপো এলাকার বিল্ডিংসমূহ ও পূর্তকাজ সম্পাদনে প্যাকেজ-২ এর দরপত্র অক্টোবরে আহ্বান করা হবে। চলতি বছরের মধ্যে ৮টি প্যাকেজের দরপত্র আহবান সম্পন্ন হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও জাইকার সম্মতিতে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময় (২০২৪) এর আগেই শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা ম্যাস র্যা পিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ডিএমআরটিডিপি) সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় (ডিটিসিএ) কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটির নির্বাহী সংস্থা এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবানকারী সংস্থা।

২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর একনেক এর বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ২১,৯৮৫.০৭ কোটি টাকা । বাংলাদেশ সরকারের ৫৩৯০.৪৮ কোটি টাকা ও প্রকল্প সাহায্য ১৬,৫৯৪.৫৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি জাইকার আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১২ থেকে জুন ২০২৪। ঢাকা মহানগরীতে কার্যকরী নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, পরিবেশবান্ধব ও দ্রুত গতির গণপরিবহণ ব্যবস্থা চালু করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রকল্পের তথা মেট্রোরেল লাইন-৬ এর রুট এলাইনমেন্ট হচ্ছে- উত্তরা ৩য় ফেইজ-পল্লবী-রোকেয়া স্মরণীর পশ্চিম পাশ দিয়ে খামার বাড়ী হয়ে ফার্মগেট- হোটেল সোনারগাঁও- শাহবাগ- টিএসসি- দোয়েল চত্বর-প্রেসক্লাব-বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। মেট্রোরেল লাইন-৬ এর স্টেশন সংখ্যা মোট ১৬টি। এগুলো হচ্ছে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার,উত্তরা দক্ষিণ, পল্লব, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় স্মরণী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব এবং মতিঝিল। বাস্তবায়নাধীন মেট্রোরেল লাইন-৬ এর দৈঘ্য- ২০.১ কিলোমিটার (এলিভেটেড)। ট্রেনের সংখ্যা- ২৪ সেট (প্রত্যেক সেটে-৬টি করে কার থাকবে)। মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতা ৬০,০০০ জন (প্রতি ঘণ্টা উভয় দিকে)।



মন্তব্য চালু নেই