মুসলিম-খ্রিস্টান সেতুবন্ধন চান পোপ
পোপ ফ্রান্সিস তিনদিনের এক সফরে শুক্রবার তুরস্ক যাচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইসলাম এবং সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির জন্যই তিনি এই সফরে যাচ্ছেন। তবে তার এই কাজকে বেশ চ্যালেঞ্জপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
পোপ ফ্রান্সিস রাজধানী আংকারায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রেসিডেন্টের নতুন প্যালেসে ওই বৈঠক হবে।
৭৭ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন এই ধর্মযাজক আগামীকাল শনিবার ও পরের দিন রোববার কাটাবেন ইস্তান্বুলে। নগরীর বাইজানটাইন ও অটোম্যান আমলে নির্মিত ঐতিহ্যবাহী স্থান পরিদর্শন করবেন তিনি।
তুরস্কে পোপ ফ্রান্সিসের সফরকে কম বিতর্কিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর আগে ২০০৬ সালে পোপ বেনেডিক্ট তুরস্ক সফর করেন। কিন্তু তার ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
এবার পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলেও তুর্কি কর্তৃপক্ষ পোপের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি রাখেনি।
খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী আংকারায় পোপের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যস্ত থাকবে ২ হাজার ৭০০ পুলিশ। ইস্তান্বুলে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭ হাজারে।
তবে পোপ যেন এরদোগানের নতুন প্রাসাদে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করেন এমন একটি আহ্বান জানানো হয়েছে এরদোগান বিরোধীদের পক্ষ থেকে। কিন্তু ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে ওই আহ্বান নাকচ করে দেয়া হয়েছে।
এরদোগান প্রেসিডেন্টের জন্য একটি নতুন প্রাসাদ নির্মাণ করেছেন। এতে ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি ইউরো। এতে প্রায় এক হাজার কক্ষ রয়েছে। নতুন প্রাসাদ নির্মাণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলেও এরদোগান তাতে কান দেননি।
মন্তব্য চালু নেই