মুসলিমদের নিষিদ্ধে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ আপিলেও খারিজ

সাত মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আপিল আদালতও তা খারিজ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে অভিবাসী নীতি নিয়ে ট্রাম্পের একক সিদ্ধান্তের বিষয়টিও নাকচ করে দেয়।

তবে মার্কিন সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। আর আপিল খারিজ হবার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

সিয়াটলের একটি আদালত ট্রাম্পের দেয়া নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে গত সপ্তাহে যে রায় দিয়েছিল সেই রায়ই এবার সর্বসম্মতিক্রমে বহাল রেখেছে আপিল আদালতের তিন বিচারকের একটি প্যানেল।

বৃহস্পতিবার নবম মার্কিন সার্কিট আপিল আদালতের তিন বিচারকের যৌথ বেঞ্চের রুলিংয়ে বলা হয়েছে, সরকার এমন কোন প্রমাণ দাঁড় করাতে পারেনি যে ওই সাত মুসলিম অধ্যুষিত দেশের নাগরিকরা কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ কারণেই ওই আপিল আদালত নিম্ন আদালতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে দেয়া রায়ই বহাল রাখে।

আদালতের এ রায়ে টুইটারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আদালতে দেখে নেব। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এখন ঝুঁকির মুখে। জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো আপোশ নয়। প্রয়োজনে আবারও আইনি লড়াই চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করার পর ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, এ ধরনের আইনি রুলিংয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্র খারাপ ও বিপজ্জনক মানুষে ভরে যেতে পারে।

এরপরেই ট্রাম্প প্রশাসনের অধীন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় যে মিস্টার ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। তবে ওই আপিলও খারিজ করে দিয়েছিল মার্কিন একটি আদালত।

আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের অ্যাটর্নি জেনারেল বব ফার্গুসন। তিনি বলেছেন, এই রায় প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রেসিডেন্টসহ সবার জন্য প্রযোজ্য।

গত ২৭ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশ জারি করে ওই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যে সব দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল সেগুলো হলো, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেন।



মন্তব্য চালু নেই