মুসলমানদের নামাজের জন্য নিজেদের প্রার্থনাস্থলের চাবি তুলে দিল ইহুদিরা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসী ও শরণার্থী বিরোধী কঠোর ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরেই ভিক্টোরিয়ার একমাত্র মসজিদ দ্য ভিক্টোরিয়া ইসলামিক সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদটির পুননির্মাণের আগেই শহরটির মুসলিম অধিবাসীরা নামাজ আদায়ের স্থান পাচ্ছেন প্রতিবেশী ইহুদীদের অসাধারণ আন্তরিকতায়। বিদ্বেষী-বৈরি আক্রমণের আঁধার হটিয়ে মানবতার অপূর্ব নিদর্শন রাখলো শহরটির ইহুদি অধিবাসীরা। স্থানীয় মুসলিমদের নামাজ আদায়ের জন্য নিজেদের প্রার্থনাস্থল সিনাগগের চাবি তুলে দিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি ট্রাম্প মুসলিম প্রধান ৭ টি দেশের অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ এবং শরণার্থী কার্যক্রম ১২০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করে একটি ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরেই টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ভিক্টোরিয়ায় মসজিদটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০০০ সালে নির্মিত মসজিদটিতে শনিবারের আগুনে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে দেখছেন ফেডারেল কর্মকর্তারা।

ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদটি পুননির্মাণের ক্ষেত্রেও ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে অনুদান এবং অনলাইনে তহবিল সংগ্রহের প্রচারণার মাধ্যমে ৯ লাখ ইউএস ডলারেরও বেশি অর্থ জোগাড় করা হয়েছে। এমন সাড়ায় অভিভূত ‘গোফান্ডমি’ প্রচারণার মূল উদ্যোক্তা ওমার রশিদ বলেন, “এমন অসাধারণ সমর্থনে আমাদের হৃদয় কৃতজ্ঞতায় পূর্ণ। এই বিপুল ভালোবাসা, সমবেদনা এবং আর্থিক সাহায্যই আসল আমেরিকান চেতনার উদাহরণ।”

সিনাগগকে মুসলিমদের প্রার্থনার জন্য দেয়ার প্রেক্ষিতে টেম্পল বনি ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট রবার্ট লোয়েব বলেন, “(এখানে) সবাই সবাইকে জানে, আমি মসজিদের কয়েকজন সদস্যকে চিনি এবং তাদের জন্য আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। যখন এমন কোন দূর্যোগ ঘটে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত।”

“ভিক্টোরিয়ায় হয়তো ২৫ থেকে ৩০ জন ইহুদি রয়েছেন এবং হয়তো ১০০ জন মুসলিম রয়েছেন। অল্পসংখ্যক ইহুদিদের জন্য আমাদের অনেক ভবনও রয়েছে।”

দ্য ভিক্টোরিয়া ইসলামিক সেন্টারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শাহিদ হাশমি বলেন, ইহুদি সম্পদ্রায়ের সদস্যরা আমার বাসায় এসে সিনাগগের একটা চাবি আমার হাতে দেয়।



মন্তব্য চালু নেই