মুম্বই চলচ্চিত্রে নারীদের ৫৯ বছরের অপেক্ষা শেষ
অদ্ভুত এক নিয়ম চলছিল বলিউডে৷ হলিউডের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই চলচ্চিত্র শিল্প মেয়েদের সব কাজে সুযোগ দিলেও এতদিন মেকআপ আর্টিস্ট হতে দেয়নি৷ অবশেষে এ অচলায়তন ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত৷
মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নায়ক-নায়িকার ফাইফরমাশ খাটা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রের জন্য দরকারি প্রায় সব কাজই করতে পারেন নারী৷ তবে কোনোদিনই কোনো মেয়েকে মেকআপ আর্টিস্ট, অর্থাৎ প্রসাধন শিল্পী হতে দেখেনি মুম্বই৷ মেয়েদের প্রসাধন শিল্পী হওয়ার সুযোগই ছিল না এতদিন৷ এ কাজে একচ্ছত্র আধিপত্য চলে আসছে পুরুষদের৷ ২০১৩ সালে কয়েকজন নারী চলচ্চিত্র কর্মী এ নিয়ম ভেঙে মেয়েদেরও প্রসাধন শিল্পী হতে দেয়ার সুযোগ দাবি করে৷ কিন্তু বলিউড ট্রেড ইউনিয়ন বেঁকে বসে৷ মেয়েদের সুযোগ দিলে অনেক পুরুষ বেকার হবে – এই যুক্তিতে ৫৯ বছর ধরে চলে আসা বৈষম্যমূলক নিয়মটাকেই আঁকড়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় তারা৷
দিল্লি সুপ্রিম কোর্ট বলিউডের পুরুষের প্রতি এমন পক্ষপাত মেনে নেয়নি৷ প্রসাধন শিল্পীর কাজে অবিলম্বে মেয়েদের সুযোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত৷ দিল্লি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেছেন, ‘‘এমন বৈষম্য কীভাবে চলতে পারে? আমরা এটা হতে দেবো না৷ ভারতের সংবিধান অনুযায়ী এমন নিয়ম কোথাও চলতে পারে না৷মনে রাখতে হবে, আমরা ২০১৪ সালে দাঁড়িয়ে আছি, ১৯৩৫ সালে নয়৷ এ নিয়ম আর একদিনের জন্যও চলতে পারে না৷”
মুম্বইয়ের মতো কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই এবং ভারতের অন্যান্য শহর বা রাজ্যের চলচ্চিত্রেও মেয়েরা হেয়ার স্টাইলিস্ট হতে পারলেও, মেকআপ আর্টিস্ট হতে পারেন না৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক মিশ্র তাই বিষয়টির দিকে আরো আগে নজর না দেয়ায় রাজ্য সরকারগুলোরও সমালোচনা করেছেন৷
মন্তব্য চালু নেই