মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সাথে শান্তি আলোচনা শুরু
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে শুরু হয়েছে দেশটির সরকার এবং আটটি সশস্ত্র আদিবাসী গোষ্ঠির মধ্যে শান্তি আলোচনা। এতে অংশ নিচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রতিনিধি ও সংসদ সদস্য এবং সশস্ত্র গোষ্ঠিগুলোর প্রতিনিধিরা।
গত বছরের অক্টোবরে বর্তমান ক্ষমতাসীন সেনাসমর্থিত সরকার এবং আট সশস্ত্র গোষ্ঠির মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এই আলোচনা শুরু হলো। পাঁচ দিনব্যাপী এই আলোচনায় বক্তব্য রখেছেন গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভ করা দল এনএলডি’র প্রধান ও দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি।
তবে এ আলোচনা ফলপ্রসু হবে কি না- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিবিসি। গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, বেশিরভাগ সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনকেই এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হচ্ছে না। যে আটটি সংগঠন আলোচনায় অংশ নিচ্ছে তারা দেশটির তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠন। এরা কখনোই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে বড় ধরনের কোনো সংঘাতে লিপ্ত হয়নি।
যেসব সশস্ত্র গোষ্ঠির সাথে বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর তীব্র সংঘাত হয়েছে তারা শান্তি আলোচনায় বাদ পড়েছে। এসব গোষ্ঠির সাথে আলোচনার বিষয় সু চি’র ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অং সান সু চি জানিয়েছেন, তার দল ক্ষমতা গ্রহণের পর বাদ পড়া গোষ্ঠিগুলোর সাথে আলোচনাকে প্রধান্য দেয়া হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের মার্চে মিয়ানমারের শাসনভার গ্রহণ করবে এনএলডি। তবে সাংবিধানিক কারণে সরকার প্রধান হতে পারবেন না সু চি। গত কয়েক দশক ধরেই মিয়ানামারের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠি নিজেদের স্বায়ত্বশাসন অথবা স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে আসছে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে মিয়নমার স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই প্রকাশ্য সংঘাত চলছে সরকার ও বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠিগুলোর মধ্যে।
মন্তব্য চালু নেই