মিয়ানমারে আবারও হামলা, নিহত ১২
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মঙ্গলবার সশস্ত্র হামলাকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহতদের মধ্যে ৪ সেনাও রয়েছেন। এসময় এক হামলাকারীও নিহত হন। তবে হামলাকারীর পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদল সশস্ত্র মানুষ মঙ্গলবার রাখাইন রাজ্যের পিয়াংপিট গ্রামে হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছাড়াও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। হামলার মুহূর্তে নিরাপত্তা বাহিনী এগিয়ে এলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর কাছের অপর ‘গ্রাম তুয়াং পাইন নিয়ার’এ ৭ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা যায় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা তলোয়ার আর লাঠিও।
এর আগে রোববার দেশটির সীমান্ত পুলিশের ৩টি পোস্টে সশস্ত্র হামলায় ৯ পুলিশসহ ২৪ জন নিহত হন। এসময় ৪ হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এদের মধ্যে ২ জনের নাম প্রকাশ করে। ঘটনাস্থল ছিল বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছে।
২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এই অঞ্চল। সেবার রাখাইন রাজ্যে ধারাবাহিক হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হন। গৃহহীন হন কয়েক হাজার মানুষ।
রাজ্যটিতে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তারা স্বীকৃত নন। উপরন্তু অবৈধ অভিবাসী হিসেবে তাদের অভিহিত করে থাকে দেশটির বৌদ্ধ জাতিগোষ্ঠী।
মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ পরামর্শক বিজয় নাম্বিয়ার সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে নিরাপত্তা বাহিনী টহল বাড়ালেও স্থানীয়রা বলছেন, বসবাস করতে তারা ভরসা পাচ্ছেন না।
মন্তব্য চালু নেই