মিশরে যৌন নির্যাতন রোধে কঠোর আইন

মিশরে উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকা যৌন হয়রানি বন্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার ক্ষমতা ছাড়ার পূর্ব মূহূর্তে রাষ্ট্রপতি আদিল মনসুর এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রিতে সই করেন।

এ আইনের অধীনে কেউ নির্যাতনকারী হিসেবে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল, অনাদায়ে ৪০০ থেকে ৭ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

জোরপূর্বক বা অস্ত্রের মুখে যৌন হয়রানি প্রমাণিত হলে নিম্নে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে। একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিকবার আসতে থাকলে প্রতিবার দ্বিগুণ হবে শাস্তির পরিমাণ।

এছাড়া কাউকে পর্নোগ্রাফিতে আহ্বান জানালে, যৌন হয়রানিমূলক বাক্য ছুঁড়ে দিলে বা অঙ্গভঙ্গি করে অমর্যাদা করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্বেকার একটি আইন সংশোধন করে এ ডিক্রি জারি করা হয়েছে। পূর্বের আইনটিতে যৌন হয়রানিকারীর বিরুদ্ধে কোন সুস্পষ্ট অভিযোগ দাঁড় করানো সম্ভব হতে না। বিচ্ছিন্ন মানহানি বা আক্রমণের অভিযোগ করা যেতো মাত্র।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে আরব বসন্তের কালে তৎকালীন স্বৈরাচারি শাসক হোসনি মোবারাকের পতন আন্দোলনে মিশরীয় নারীরা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু প্রতিবাদকালে নারীদের রক্ষা করতে আলাদা প্রতিরক্ষাবূহ্য গড়তে হতো আন্দোলনের সহকর্মী পুরুষদের।

এমন দৃশ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় নিন্দার ঝড় তুলেছিল।



মন্তব্য চালু নেই