মিশরীয় বিমান হামলায় নিহত ৭
লিবিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো মিশরীয় বিমান হামলায় কমপক্ষে সাত বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।
জঙ্গিরা ২১ মিশরীয় খ্রিস্টান জিম্মিকে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করার পর সোমবার সকালে এ হামলা চালানো হয় বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।
গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার আল জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার ভোরে লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দেরনা’য় আইএসের প্রশিক্ষণ শিবির এবং অস্ত্র গুদামগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে মিশর। এসব হামলায় কমপক্ষে সাত বেসামরিক নিহত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ঘাতকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, সোমবার সকালে আইএসের শিবির, প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং অস্ত্রভাণ্ডারগুলো লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। হামলা শেষে তারা নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে।
এদিকে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ওমর আল হাসি এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ এবং ‘ঘৃণ্য আগ্রাসন’ হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এ হামলার পর সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে মিশরের প্রধান প্রধান স্থাপনাগুলোতে সেনা মোতায়েন করেছেন প্রেসিডেন্ট সিসি।
রোববার আইএসের প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কমলা রংয়ের পোশাক পরিহিত খ্রিস্টানদের মাটিতে ফেলে তাদের শিরশ্ছেদ করছে জঙ্গিরা। ভিডিওটি প্রকাশের পর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে তড়িঘড়ি এক বৈঠক করেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। বৈঠক শেষে সিসি বলেছিলেন,‘উপযুক্ত সময়ে এবং যথাযথ পদ্ধতিতে অমানবিক ওই ঘাতকদের এই হত্যাযজ্ঞের জবাব দেয়া হবে।’
গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সিরতে শহর থেকে ওই ২১ খ্রিষ্টানকে অপহরণ করা হয়েছিল।
মন্তব্য চালু নেই