বর্ষবরণে টিএসসিতে নারীদের শ্লীলতাহানি
মিডিয়া তোলপাড় করা “বস্ত্র হরণের ছবিটি” টিএসসির নয় !
গত মঙ্গলবার পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বর্ষবরণ উৎসবে আগত নারীদের শ্লীলতাহানি করে কতিপয় বখাটে যুবক। যৌন হয়রানির এ সংবাদ প্রচার করতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম যে ছবিটি ব্যবহার করেছে আসলে সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির নয়।
ছবিটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় জবির উত্তরণ ও অনির্বাণ বাসে যৌন হয়রানির ঘটনায় উত্ত্যক্তকারী জবি ছাত্রলীগ কর্মী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুলকে গণধোলাইয়ের ছবি।
নাজমুলের পরনে কাল প্যান্ট এবং সে নিজেই টি-শার্ট খুলে গলায় বেঁধে বাসের ভেতরে নাচতেছিল। এক পর্যায়ে বাসে থাকা ছাত্রীদের উত্যক্ত করায় গাড়ি থেকে নামিয়ে গণধোলাই দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
টিএসসির ঘটনার সাথে ওই ছবি ব্যবহার করায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন পাঠকরা। অনেকেই ভাবছেন, ওই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোলা, কিন্তু তা নয়। এদিকে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে ভাইরালে। আসলে, ছবিটি তুলেছেন বাংলাট্রিবিউনের সাংবাদিক রোহান। ছবিটি তুলতে গিয়ে লাঞ্চিতও হন তিনি।
ছবিটি সম্পর্কে রশিদ আল রুহানী (রোহান)বলেন, ‘ইভটিজিং করায় গণধোলাই খায় জবি ছাত্রলীগ কর্মী নাজমুল। আর এ ঘটনার ছবি আমি তুলে ছিলাম। ছবি তোলা দেখে ছাত্রলীগ কর্মী আলাউদ্দিন ও চঞ্চল আমার উপর চড়াও হয়। আমার হাতের ক্যামেরা নিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করে। ক্যামেরা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে এবং ছবি মুছে দেয়। পরে নাজমুলকে সাথে নিয়ে আমাকে আরও হুমকি দেয়।’
তিনি বলেন, ‘বাসের মধ্যে থাকা কয়েকজন এগিয়ে আসার ফলে আমার গায়ে হাত তোলেনি। তবে ছবি মুছে দিলেও প্রযুক্তির সহায়তায় আমি ছবিগুলো ফিরে পেয়েছি। পরে এটা নিয়ে আমি নিউিজও করেছি। এই ছবির সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শ্লীলতাহানীর কোন সম্পর্ক নেই।’
মন্তব্য চালু নেই