মায়ের বিছানায় কিশোরীর সতীত্ব হরণ শিক্ষকের!

পর্বত আরোহণের কোর্স করানোর নামে নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযোগের তীর ব্রিটিশ শিক্ষক লি লুইসের দিকে। অভিযোগ হচ্ছেন-১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দেয়ার নামে তাঁরই মায়ের বিছানায় সতীত্ব হরণ করেন ঐ শিক্ষক।

নির্যাতিত ওই ছাত্রীর বয়স যখন ১৪, তখন থেকে ওই শিক্ষকের কাছে তিনি শরীরচর্চা এবং ধ্যানের শিক্ষা নিতেন। ১৬ বছর হতেই ওই ছাত্রীর সঙ্গে কৌশলে শারীরিক সম্পর্ক করেন শিক্ষক।

জানা যায়, ১৬ বছর হতেই ওই ছাত্রীকে অপরিচিত নম্বর থেকে হোয়াটস অ্যাপে অশ্লীল বার্তা পাঠাতেন লুইস।

বর্তমানে নির্যাতিত ওই কিশোরীর বয়স ১৮। তিনি বলেন, ‘লুইসের আচরণে আমি অপ্রস্তুতবোধ করতাম। তবে তিনি খুবই আকর্ষণীয় ছিলেন। কিন্তু আমি তাকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করতাম। তিনি বলতেন, আমি তোমাকে শিখিয়ে দেবো।’

নির্যাতিতার বয়স যখন ১৪ বছর তখন থেকে লুইস তাঁর শরীরচর্চার শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সাউথ ওয়েলসের এই বাসিন্দাকে প্রতি মাসে এক সপ্তাহের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থাকতে হত।

যখন ওই কিশোরীর বয়স ১৬ বছরে পৌঁছায়, তখন থেকেই তাকে ফেসবুক এবং হোয়াটস অ্যাপে অশ্লীল বার্তা পাঠাতে থাকেন লুইস। এক পর্যায়ে খুদে বার্তায় সাড়া দেয় সেই ছাত্রী।

তিনি বলেন, পর্বত আরোহণের প্রশিক্ষণে উঁচু এক স্থানে নিয়ে লুইস আমাকে প্রথম চুমু দেয়। তবে তিনি যৌনতাকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছিলেন, সেটি তখন আমার কাছে কাঙ্খিত হয়ে উঠে।

এর প্রায় দুমাস পরে লুইস আমার মায়ের বিছানায় আমার সতীত্ব হরণ করে। প্রথমে তিনি আমাকে বলেছিলেন আমাদের এই সম্পর্কের কথা যেন কাউকে না বলি। তাহলে তার চাকরি চলে যাবে। লুইসের সঙ্গে আমার দুবছরের শারীরিক সম্পর্ক ছিল।

কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে যখন ওই কিশোরী লুইসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে অস্বীকৃতি জানায়, তখন তিনি এগুলো ফাঁস করে দেবার হুমকি দিতে থাকে। লুইস বলে আমি তোমার মাকে সব বলে দেবো।

নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি কখনোই চাইতাম না যে এই বিষয়ে কেউ জানুক। কারণ আমি ছোট থেকেই খুব ভালো মেয়ে হিসেবে পরিচিত।’

এরপর ল্ইুস ওই শিক্ষার্থীকে বাড়িতে এবং তার খ-কালীন চাকরি উভয় জায়গাতেই বিরক্ত করতে থাকে। এমনকি তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে ও প্রভাব খাটাতে চেষ্টা করে।

এমনকি যদি লুইসকে ছেড়ে যায়, তাহলে তাকে হত্যারও হুমকি দেয়া হয়।

শেষ পর্যন্ত গত বছরের জুনে বিরক্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানান ওই নির্যাতিতা শিক্ষার্থী।

অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘লুইসকে রক্ষা করার জন্য আমি কোন মিথ্যা বলতে পারব না। বরং আমি চাই এই ঘটনা সবাই জানুক। যেনো আর কারো সঙ্গে এমনটি না ঘটে।

ঘটনা জানার পর নির্যাতিতা শিক্ষক জোয়ানা হাগেস বলেন, ‘জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্কের কারণে এরকমের হাসিখুশি একটি মেয়ে ধীরে ধীরে মলিন হয়ে যায়।’

এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় লুইসের শিক্ষকতার সার্টিফিকেট বাতিল করা হয় এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য তিনি আর শিক্ষকতার আবেদন করতে পারবেন না।

তদন্তে নেমে দেখা যায়, ২০১৩ সালে বাথরুমে নগ্ন অবস্থায় ওই ছাত্রী ছবি পোস্ট করেন লুইসকে। অর্থাৎ তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে, এটি নিশ্চিত।



মন্তব্য চালু নেই