মালয়েশিয়ায় ফের গণকবরের সন্ধান, ২৪ দেহাবশেষ উদ্ধার

থাইল্যান্ড সীমান্তে মালয়েশিয়ার গহিন জঙ্গলে আবারও গণকবরের সন্ধান মিলেছে। সেখান থেকে শনিবার ২৪ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। মালয় পুলিশের বরাত দিয়ে রোববার গার্ডিয়ান-এর খবরে বলা হয়েছে, দেহাবশেষগুলো মানবপাচারের শিকার অভিবাসীদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

থাই-মালয় সীমান্তের ওই ঘন জঙ্গলকে মানবপাচারের প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ রুট দিয়েই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার ও বাংলাদেশে থেকে পাচারের মাধ্যমে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসা হয়।

মালয় পুলিশ জানিয়েছে, মিয়ানমারের কাছে মালয়েশিয়ার থাইল্যান্ড সীমান্তের বুকিট ওয়াং এলাকার একটি জঙ্গলের ভেতরে থাকা গণকবর থেকে ২৪ জনের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। এ গণকবরের খুব কাছে গত মে মাসে ‘অবৈধ আটক কেন্দ্রে’ থেকে শত শত দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছিল।

পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পরে নৌকার সাহায্যে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের অভিবাসন-প্রত্যাশীরা এসব ‘বন্দিশিবিরে’ আটকা পড়েন। মুক্তিপণের দাবিতে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাত পাচারকারীরা। অনেকে খাবারের অভাবে মারাও যান ওই শিবিরে।

অভিযানে পাওয়া ২৪ জনের দেহাবশেষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে- বিবৃতিতে উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান চালিয়ে মাটির নিচে থেকে ২৪ জন অবৈধ অভিবাসীর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

তবে ওই দেহাবশেষ মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা মুসলিমদের, নাকি বাংলাদেশিদের- তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে বেশ কিছু গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর এ নিয়ে বিশ্বে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ওই গণকবর থেকে পাওয়া দেহাবশেষের অধিকাংশ বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকদের বলে জানায় দেশটি।

এর কয়েক দিন পর মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়।



মন্তব্য চালু নেই