মালিবাগে ঘর ধসে ১৫ জন নিহতের ঘটনায় যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান আটক

অবশেষ মালিবাগে ঝুপড়িঘর ধসে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ঝুপড়ির মালিক এবং যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান ওরফে মনির চৌধুরীকে আটক করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা তাঁকে কুমিল্লার টিপরাপাড়ার নিশ্চন্তপুর বাজার এলাকা থেকে সোমবার ভোরে গ্রপ্তার করে। তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ঝুপড়ি ধসে ১৫ জন মুত্যুর ঘটনায় আগেই মামলা হয়েছে। ১৫ এপ্রিল এই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

মালিবাগের ঝিলপাড় বউবাজারে পানির মধ্যে টিন ও বাশের বহুতল ঝুপড়ি ধসে ওই দিন কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং শতাধিক বাসিন্দা আহত হন। ঝুপড়ির মালিক যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান।

যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামানের যত অপরাধ:

মনিরুজ্জামান ওরফে মনির চৌধুরী মালিবাগ-রামপুরা এলাকার প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক। মালিবাগে চৌধুরীপাড়া মাটির মসজিদ ও বউবাজারের মধ্যবর্তী বিশাল সরকারি খাস ঝিলের মাঝখানে পানির ওপর তিনি লোহার এঙ্গেল, সিমেন্টের খুঁটি, বাঁশ, কাঠের পাটাতন আর উপরে টিন দিয়ে বিশাল টিনের দোতলা ঘর তৈরি করেন। তাতে কক্ষ ছিল ২৪টি। ঘরগুলোতে যাওয়ার জন্য ছিল ৩০ ফুট লম্বা বাঁশের বড় সাঁকো। আর নিচতলা থেকে উপরে যাওয়ার জন্য মই জাতীয় বিশেষ সিঁড়ি। রাজউক, জেলা প্রশাসন বা সিটি কর্পোরেশনসহ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই প্রায় আড়াই বছর আগে নিজ উদ্যোগে ঘরগুলো তৈরি করেন যুবলীগ নেতা মনির চৌধুরী। তার দেখাদেখি ওই ঝিলের ওপর আরও ৫-৬টি বাড়ি একইভাবে নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা।

ক্ষমতাসীন দলের নেতা হিসেবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মনির এ অবৈধভাবে নির্মিত ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগও নিয়েছেন। মাসিক সাড়ে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ভাড়ায় এসব ঘরে থাকতেন দেড় শতাধিক নিু আয়ের মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, গার্মেন্ট কর্মী, ঠেলাওয়ালা, নির্মাণ শ্রমিক ও দিনমজুর পরিবার বসবাস করত এসব ঘরে। বাড়ির ম্যানেজার ছিলেন আরাফাত আলী নামের একজন। তিনি মনিরুজ্জামানের পক্ষে ভাড়া তুলতেন আর পাহারা দিতেন।



মন্তব্য চালু নেই