মালালার চোখে জল

সাহসী মেয়ে হিসেবে স্বীকৃত মালালা ইউসুফজাইয়ের চোখে জল দেখল গোটা বিশ্ব। ওসলোতে নিজের রক্তমাখা স্কুলড্রেস দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেনি ১৭ বছরের এই কিশোরী। দু চোখ জলে ভরে যায়। মনে পড়ে যায় নিষ্ঠুর সেই অতীত দিনটির কথা।

২০১২ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠ তালেবানরা বন্দুকধারীরা যখন তার ওপর হামলা চালিয়েছিল, তখন তো এই পোশাকটিই পরনে ছিল তার। জামাটিতে এখনা লেপ্টে আছে শুকনো রক্তের দাগ। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কতনা দু:খের স্মৃতি। ওই হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য লন্ডনে চলে আসা। সুস্থ হওয়ার পর নারী শিক্ষার প্রচারণায় নিজেকে উৎসর্গ করা যা তাকে গোটা বিশ্বে পরিচিতি এনে দেয়। এ অবদানের স্বরুপ মিলেছে কতনা স্বীকৃতি! সম্প্রতি পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। বুধবার ভারতের ভারতের শিশু অধিকারকর্মী কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে যৌথভাবে এ পুরস্কার নিয়েছেন মালালা।

73544n96 মালালার চোখে জলবৃহস্পতিবার নোবেল পিস সেন্টারে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। সেখানেই প্রদর্শিত হচ্ছিল মালালার পুরনো স্কুলড্রেস-নীল কামিজ, সাদা হেডস্কার্ফ আর সাদা সালোয়ার। কাঁচের বাক্সে নিজের রক্তমাখা পোশাক দেখে কেঁদে ফেলে এই পাকিস্তানি কিশোরী। যে কান্না বুঝিয়ে দেয়, মেয়েটি এখনো অনেক ছোট, ভালো করে পুতুল খেলার বয়সও পেরেয়নি তার, তাকে যতই বড় করে দেখানো হউক না কেন!

এ সময় ক্রন্দসী মালালাকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসেন শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল জয়ী সত্যার্থী। তিনি তাকে ওদু হাতে জড়িয়ে ধরে বারবার বলতে থাকেন,‘তুমি তো অনেক সাহসী মেয়ে, অনেক সাহসী।’

উল্লেখ্য, মালালার ইচ্ছাতেই ওই স্কুলপোশাক নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদশর্নীর অংশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রথমবার তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এত দিন ওই পোশাক নিজেদের কাছে রেখেছিল মালালার পরিবার। এ সম্পর্কে মালালা বলেন,‘এ পোশাকটি আমার জীবনের একটি গুররুত্বপূর্ণ অংশ। এখন আমি এটি গোটা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চাই।’



মন্তব্য চালু নেই