মার্কিন পণ্য বয়কটের ডাক মেক্সিকোর, স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাচীর নির্মাণের ঘোষণায় মেক্সিকানদের মাঝে অভাবনীয় দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলেছে। একই সঙ্গে তারা কোকাকোলা ও স্টারবাকসের মতো অন্যান্য মার্কিন পণ্য বয়কটের জন্যও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
শুধু তাই নয়, দেশটির জনগণ নিজেদের দেশের পতাকা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রোফাইল ছবিও পরিবর্তন করেছে। অপরদিকে মার্কিন সরকারের আগ্রাসী হাত থেকে মেক্সিকোর মর্যাদা ও স্বাধীনতা রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার করেন প্রেসিডেন্ট পেনা নিয়েতো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে একটি বৃহদায়তনের প্রাচীর নির্মাণ ও এর খরচ মেক্সিকানদের নিকট থেকে আদায় করার অঙ্গীকার করেছেন। তার এই ঘোষণায় দেশটির জনগণের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
টুইটার, ফেসবুক এবং ইস্ট্রাগ্রামে হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে তারা বলছে, আমরা সবাই মেক্সিকান। ট্রাম্প বিরোধী টুইটে তারা আওয়াজ তুলেছেন, মেক্সিকো জিন্দাবাদ, আমরা বিশ্বের সেরা দেশে বাস করছি। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতোর মুখপাত্র, পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের টুইটার প্রোফাইলে দেশটির সবুজ, সাদা ও লাল পতাকা শোভা পাচ্ছে। হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে মেক্সিকানদের মার্কিন পণ্য থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
মেক্সিকানদের এই বিশাল দেশপ্রেম দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছন বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি টেলিকমিউনিকেশন ম্যাগনেট কার্লোস স্লিম। তিনি তার বিস্ময় প্রকাশ করতে এক বিরল সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। পেনা নিয়েতোর অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণে এই ধনকুবের টেলিফোন সাম্রাজ্য ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসলেও তবুও তিনি প্রসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতোকে সমর্থন করেছেন।
কার্লোস স্লিম বলেন, জাতীয় ঐক্যের জন্য এমন প্রচেষ্টা আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রদর্শনী এটি। তিনি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে পেনা নিয়েতো’র আলোচনাকে সমর্থন করতে সকল মেক্সিকানদের প্রতি আহ্বান জানান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পেনা নিয়েতোর জনপ্রিয়তা মাত্র ১২ শতাংশ ছিল। মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে তার দরকষাকষি তাকে এখন দেশটিতে ব্যাপক জনপ্রিয় করেছে।
এর আগে গত সোমবার একটি ভিডিও বার্তায় তিনি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশ ও দেশের বাইরে আমাদের কর্মের ভিত্তি হতে হবে আমাদের জাতীয় ঐক্য। তিনি গর্ব করে বলেন, আমি মেক্সিক্যান হতে পেরে গর্বিত বোধ করছি। আজকে যেমনটি বোধ করছি আগে কখনো এতটা বোধ হতো না। ওয়ার্ল্ড বুলেটিন।
মন্তব্য চালু নেই