মহাসড়কে লাশের মিছিল : নয় জেলায় নিহত ১৬

ঢাকা, কক্সবাজারসহ নয় জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শনিবার ১৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। এর মধ্যে কক্সবাজারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। টাঙ্গাইলে মা ও ছেলে এবং দিনাজপুরে দুজন করে নিহত হয়েছেন। ঢাকা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজশাহী, পঞ্চগড় ও মাদারীপুরে একজন করে নিহত হয়েছেন।

ঢাকার পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস খাদে

আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং গয়ালমারা এলাকায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে চারজন নিহত ও অন্তত আটজন আহত হন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মাইক্রোবাসের চালক আমির হোসেন (৩৫), ঢাকার বাসাবো এলাকার আইয়াস আলীর ছেলে সাথি (২৫) ও কুমিল্লার হোমনার স্বপন মিয়ার স্ত্রী সুমি (২৭)। নিহত অপরজন কুমিল্লার নোয়াপাড়ার বাপ্পির স্ত্রী। তাঁর নাম জানা যায়নি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।

আহত আটজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে দুজনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে পিকনিকের মাইক্রোবাসটি ঢাকার বাসাবো থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিল। সকালে চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং গয়ালমারা এলাকায় মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়।

অপরদিকে রামু উপজেলার রশিদনগর নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে আজ ভোর সাড়ে ৬টায় মালবাহী একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।

নিহত একজনের নাম মো. জয়নাল আবেদীন (২৪)। তিনি রামু উপজেলার চৌমুহনী এলাকার ফল ব্যবসায়ী। অপরজনের পরিচয় মেলেনি। নিহতরা পথচারী ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন। তাঁদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হারুন অর রশিদ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ মালবাহী একটি পিকআপ বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরের দেয়ালে ধাক্কা দেয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি আটক করা হয়েছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ, মা-ছেলে নিহত

টাঙ্গাইল জেলার আশেকপুর বাইপাস এলাকায় বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে মা ও তাঁর সাত মাস বয়সী ছেলে নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অটোরিকশার আরো চারজন যাত্রী। তাদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া গ্রামে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এসআই শাহ আলম জানান, মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাস এলাকায় যাত্রীভর্তি সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা সড়ক পার হওয়ার সময় উত্তরবঙ্গমুখী তেলবাহী একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী রাজীব মিয়ার স্ত্রী মা সাফিয়া আক্তার ও তাঁদের শিশু ছেলে সাখাওয়াত মারা যায়। এ সময় অটোরিকশার আরো চারজন যাত্রী আহত হয়। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তেলবাহী ট্রাক ও ট্রাকের চালক সোহাগকে আটক করেছে পুলিশ।

বাস উল্টে গাছে ধাক্কা, স্কুলশিক্ষকসহ নিহত ২

দিনাজপুর সদর উপজেলার নশিপুর এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এক স্কুলশিক্ষকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন। আজ সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানা যায়নি। আহত পাঁচজনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর-দশমাইল মহাসড়কে আজ সকালে নশিপুর এলাকায় বাসটি উল্টে গিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি রেদোয়ানুল করিম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নিহত

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এহতেশামুল হক নতুন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তাঁর সহকর্মী একই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন। আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে চড়ে কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার পথে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের ১৮ মাইল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, ঝিনাইদহ শহরের নিজ বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো দুই সহযোগী অধ্যাপক তাঁদের কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং সড়কের পাশে গাছে আঘাত হানে। এতে মোটরসাইকেলের চালক এহতেশামুল হক নতুন ও তাঁর সহকর্মী জাহাঙ্গীর হোসেন গুরুতর আহত হন। তাঁদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে সকাল ১০টার দিকে মারা যান এহতেশামুল হক।

আহত অপরজনের চিকিৎসা চলছে। তাঁর অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আইয়ুব হোসেন।

খবর পেয়ে স্থানীয় একটি অনুষ্ঠান থেকে সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওয়াহিদুজ্জামানসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনের নেতারা। তাঁরা শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

এদিকে এহতেশামুল হক নতুনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামে। এ সময় সবার চোখে ছিল পানি। প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে শোকাহত হয়ে পড়েন তাঁরা।

নিহত এহতেশামুল হক নতুন ঝিনাইদহ জেলা শহরের এইচ এস এস সড়কের মরহুম ওয়াজিউল হকের মেজো ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। বিকেল ৪টায় নিহতের জানাজা স্থানীয় ওয়াজির আলী হাইস্কুল ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাঁকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পুরান ঢাকায় মেডিকেলছাত্রী নিহত

পুরান ঢাকার নয়াবাজার এলাকায় আজ সকালে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মেডিকেলের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর মা।

নিহত ছাত্রীর নাম সাদিয়া হাসান (২২)। তিনি পুরান ঢাকায় অবস্থিত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে পড়তেন।

সাদিয়ার বাবার নাম হাসানুজ্জামান। তাঁদের বাড়ি রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানা এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী থেকে আজ সকালে মা শাহীন সুলতানার সঙ্গে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে নামেন সাদিয়া। সেখানে থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে যাচ্ছিলেন কলেজের হোস্টেলে। পথে পুরান ঢাকার নয়াবাজার মোড়ে অটোরিকশাটিকে পেছন দিক ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে মা ও মেয়ে উভয়ই মাথায় আঘাত পান। পরে দুজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাদিয়ার মা ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, মেডিকেলছাত্রীর মরদেহ কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেল নসিমন চালকের

মাগুরা সদর উপজেলার পারনান্দুয়ালী এলাকায় আজ সকাল ৮টার দিকে ইটভর্তি নসিমনকে ধাক্কা দিয়েছে একটি কাভার্ডভ্যান। এতে নসিমনের চালক নিহত হয়েছেন।

নিহত চালকের নাম শুক্কুর আলী (৩৮)। তিনি মাগুরা সদরের হাজিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাড়েলা গ্রামের সামছুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাগুরা সদর থানার এসআই শামসুজ্জামান সুমন জানান, সকালে ঢাকা-মাগুরা মহাসড়কে পারনান্দুয়ালীতে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক অফিসের সামনে ইটভর্তি নসিমনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় কুরিয়ার সার্ভিসের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যান। এতে ঘটনাস্থলেই নসিমনের চালক শুক্কুর আলী নিহত হন।

ট্রাকের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় রেজাউল করিম (৫৬) নামের এক সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার স্লুইসগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রেজাউল করিম উপজেলার সমাসপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।

গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রেজাউল করিম সাইকেলে করে টিন নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী একটি ট্রাক তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

ওসি জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।

ইজতেমায় আসার পথে দুর্ঘটনা

সাপঞ্চগড়ের ইজতেমায় আসার পথে বোদা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনোয়ার হোসেন (৩৫) নামের এক মাইক্রোবাস যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় ওই মাইক্রোবাসের চালকসহ আরো চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আজ ভোর ৫টায় উপজেলার সাকোয়া পেট্রলপাম্প এলাকায় পঞ্চগড়-দেবীগঞ্জ মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের প্রথমে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

নিহত মনোয়ার হোসেন নীলফামারী জেলার বেংহারী সাহাপাড়া এলাকার ছবির উদ্দীনের ছেলে। আহত অপর চারজন হলেন একই এলাকার ইউসুফ মাসুদের ছেলে আলমগীর হোসেন, আনসার আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, আবদুর খালেকের ছেলে এজানুল ও মহিউদ্দীনের ছেলে তাজুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ ভোর ৫টায় নীলফামারী থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস সাকোয়া পেট্রলপাম্প এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মনোয়ার হোসেন মারা যান এবং মাইক্রোবাসে থাকা চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হন।

বোদা থানার ওসি এ কে এম নূরুল ইসলাম সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাসের ধাক্কায় মাদ্রাসাছাত্র নিহত

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের হ্যামিলটন ব্রিজের কাছে আজ দুপুরে দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় ওবায়দুর মোল্লা (১০) নামের এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়েছে। সে মুকসুদপুর উপজেলার মুনিরকান্দি গ্রামের রবিউল মোল্লার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট হ্যামিলটন ব্রিজের কাছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস পথচারী মাদ্রাসাছাত্র ওবায়দুর মোল্লাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

রাজৈর থানার ওসি কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই