মর্গের পথে অলৌকিক বেঁচে ওঠা!

সত্যিই মারা গেলেন সেই নারী

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বেঁচে থেকেও ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া সেই নারী এবার সত্যিই মারা গেছেন। শুক্রবার তার মৃত্যু হয়েছে। তবে শুক্রবার কখন মারা গেছেন নাম না জানা পঞ্চাশোর্ধ্ব এই নারী- চিকিৎসকদের কাছে সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে তার উত্তর না দিয়ে বরং দুর্ব্যবহারই করেন তারা।

এর আগে বৃহস্পতিবার ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন ঢামেক চিকিৎসকরা। ট্রলিতে করে যখন তাকে মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ঠিক সে সময়েই নড়ে ওঠেন তিনি। ঘটনা দেখে চিৎকার করে ওঠেন ওয়ার্ড বয় ও বেলাল ও ডোম আজিজ।

পরে আবার তাকে ঢামেকের নতুন ভবনের ৮০২ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর ইউনিটের ৬ নম্বর বেডে রাখা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর এই নারীকে চরম অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেন হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান। দুইদিন চিকিৎসার পর হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই রোগীর খিচুনি ওঠে। একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় শ্বাস-প্রশ্বাস। তখন সবাই মনে করেন তিনি মারা গেছেন। পরে ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক নীলুফা নীলাকে বিষয়টি জানালে তিনি ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেন।

জীবিত থেকে ডেথ সার্টিফিকেট পেয়ে মর্গের পথ থেকে ফিরে আসা ওই নারীকে শুক্রবার মিষ্টি-রুটি খেতে দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি তার নামটি বলে যেতে পারেননি। কারণ, শেষ পর্যন্তও তিনি কথা বলেননি। তার পরিচয়টা পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীই থেকে গেল।

মর্গের পথে অলৌকিক বেঁচে ওঠা!:
‘রাখে আল্লাহ, মারে কে?’ অতিপরিচিত এই প্রবাদটি আরো একবার চরমভাবে প্রমাণ করেছেন ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া পঞ্চাশোর্ধ্ব ‘অলৌকিক’ এক নারী। যাকে মৃত ভেবে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। কিন্তু মৃত ওই নারীর কোনো স্বজন না থাকায় মরদেহ মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। বৃদ্ধার মরদেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার সময়ই ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা। হঠাৎ করেই নড়ে ওঠেন অজ্ঞাত এই নারী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর ঢামেকের সামনের ফুটপাত পরিষ্কার করার সময় এই নারীকে চরম অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেন হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান। দুইদিন চিকিৎসার পর হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই রোগীর খিচুনী ওঠে। একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যা রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস। তখন সবাই মনে করে তিনি মারা গেছেন। পরে ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক নীলুফা নীলাকে বিষয়টি জানালে তিনি ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেন।

ওয়ার্ড বয় বেলাল সেই সার্টিফিকেট নিয়ে মর্গের দায়িত্বে থাকা নূরে আলমকে দেন। আলম তখন আজিজ নামের এক ডোমকে মরদেহটি মর্গে এনে ময়নাতদন্ত করাতে নির্দেশ দেন। নির্দেশনানুযায়ী আজিজ ওই নারীকে ট্রলিতে তুলে মর্গের দিকে নিতেই হঠাৎ করে নড়ে ওঠেন তিনি। শুরু হয় শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচল।

মর্গের পথে অলৌকিক বেঁচে ওঠা!এ ঘটনা দেখে আজিজ ও ওয়ার্ড বয় বেলাল চিকৎকার করে ওঠেন। পরে তারা বুঝতে পারেন যে, ওই নারী মারা যাননি। তিনি এখনো জীবিত। বর্তমানে তাকে ঢামেকের নতুন ভবনের ৮০২ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর ইউনিটের ৬ নম্বর বেডে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে ঢামেকে গিয়ে দেখা যায়, কদিন আগেও যাকে অবহেলায় মেঝেতে থাকতে হতো, আজ তাকে রাখা হয়েছে বেডে। খাওয়ানো হচ্ছে মিষ্টি আর রুটি। নেয়া হচ্ছে বিশেষ পরিচর্যা। তবে এখনো ওই নারী কথা বলতে পারছেন না। তাই তার নাম বা পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে সেই চিকিৎসক নীলুফা নীলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভুল স্বীকার করে বলেন, ‘ওই রোগীর খিচুনী ওঠার একপর্যায়ে তার পালস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই আমি মনে করেছিলাম উনি মারা গেছেন। এটা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। তবে উনি এখন ভালো আছেন।’



মন্তব্য চালু নেই