মনোনয়ন নাও পেতে পারেন হিলারি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের কাজ প্রায় শেষের দিকে। রিপাবলিকানদের পক্ষে মনোনয়নের দৌঁড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ডেমোক্রেটদের পক্ষে এগিয়ে থাকা হিলারির সামনে এখন ক্যালিফোর্নিয়া নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ। প্রাইমারিতে এই অঙ্গরাজ্যটিতে স্যান্ডার্সের কাছে হেরে গেলে মনোনয়ন নাও পেতে পারেন তিনি।

ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বড় অংশের ভোটারই হিলারির বিপক্ষে স্যান্ডার্সকে ভোট দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সেখানে নতুন করে ভোটার হয়েছে দেড় লাখ ডেমোক্রেট প্রতিনিধি। এই অংশটিই মূলত স্যান্ডার্সের পক্ষে। আর এদের লক্ষ্য করেই প্রচারণা চালাচ্ছেন স্যান্ডার্সও।

ইনস্টিটিউট অব ক্যালিফোর্নিয়ার সর্বশেষ জরিপ মতে, এই অঙ্গরাজ্যটিতে ৭ জুনের প্রাইমারি নির্বাচনে যদি সামান্য ব্যবধানেও জিতে যান স্যান্ডার্স তবে নতুন করে ২৫০ জন ডেলিগেটের সমর্থন পাবেন তিনি, যা তার মনোনয়ন নিশ্চিত করতে পারে। ২০১২ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ডেমোক্রেটদের নতুন করে ভোটার বেড়েছে ২১৮ শতাংশ। এদের বেশিরভাগই তরুণ। এরাই স্যান্ডার্সের মনোনয়নে ভূমিকে রাখবে বলে জানায় ইনস্টিটিউট অব ক্যালিফোর্নিয়া।

স্যান্ডার্স যদি ক্যালিফোর্নিয়ায় জিতে যায় তবে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে সাধারণ নির্বাচনে হিলারির মনোনয়ন। এতে ডেমোক্রেটদের সুপারডেলিগেট, দ্বিধাবিভক্ত নেতারা এবং নির্বাচিত অন্যান্য কর্মকর্তারা, যারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে কাউকে সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে স্বাধীন, তারা হিলারির ওপর থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারে।

এ বিষয়ে স্যান্ডার্স বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যদিও সুপার ডেলিগেটদের সমর্থনের দিক থেকে হিলারি এগিয়ে আছেন। তবে ডেমোক্রেটদের সম্মেলনের আগ পর্যন্ত তারা কাউকে ভোট দিচ্ছেন না। এখন আমার কাজ, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বুঝিয়ে তাদের আমার পক্ষে রাজি করানো।’

সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে দেখা যায়, জাতীয় পর্যায়ে ট্রাম্পের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এগিয়ে আছেন স্যান্ডার্স। সর্বশেষ একটি সমীক্ষায় অন্যদের চেয়ে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন তিনি। তাছাড়া বর্ণবাদী এবং মুসলিমবিদ্বেষী বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে একদিকে সমালোচিত ট্রাম্প। অন্যদিকে ব্যক্তিগত ই-মেইল সরকারি কাজে ব্যবহার করে ইমেজ সংকটে হিলারি। এদিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন স্যান্ডার্স।



মন্তব্য চালু নেই