মনে হচ্ছিল যেন নরকের কোনো কামরায় আমি

‘মুম্বাই-বারানসি কামায়নি এক্সপ্রেসে ঘুমিয়ে ছিলাম। একটা প্রবল ধাক্কায় ঘুম ভেঙে যায়। ধড়ফড় করে উঠে দেখি চারদিকে শুধুই অন্ধকার। কামরার দরজা খুলে দিতেই হুড়হুড় করে ঢুকে পড়লো পানি। মুহূর্তের মধ্যেই গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেলো। ওইভাবেই দাঁড়িয়ে থাকলাম তিন থেকে চার ঘণ্টা। মনে হচ্ছিল যেন নরকের কোনো কমরায় আমি দাঁড়িয়ে আছি।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিভীষিকাময় এমন অভিজ্ঞতার কথাই জানিয়েছেন শাভেজ নামে এক ট্রেন যাত্রী।
মুম্বাই থেকে বারানসি যাচ্ছিল যাত্রীবাহী কামায়ানি এক্সপ্রেস। অন্যদিকে মুম্বাই থেকে জব্বলপুরের দিকে যাত্রা করেছিল জনতা এক্সপেস। মঙ্গলবার রাতে হারদা জেলার কুদাওয়া রেলস্টেশনের কাছে মাচাক নদীর ছোট্ট সেতুর ওপর ওঠার পর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন দু’টি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে কামায়নি এক্সপ্রেসের ৬টি কামরা এবং জনতা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ তিনটি কামরা লাইনচ্যূত হয়।
এ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৪০ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
হড়পা বানের দুর্ঘটনায় আলাদা হয়ে যায় কালভার্টের মাটি। ধসে যায় রেললাইন। ফলে যে কালভার্ট ১০ মিনিট আগেও নিরাপদ ছিল‚ সেটাই হয়ে দাঁড়ায় মরণফাঁদ। ভারী বৃষ্টি এবং জমে থাকা পানির কারণে উদ্ধারকারীদের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি হয়। ফলে লাইনচ্যুত কামরায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় আটকে পড়া যাত্রীদের। গলা পর্যন্ত পানিতে আতঙ্কের প্রহর গুণতে গুণতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বেশ কয়েকজন অসহায় যাত্রী।
মন্তব্য চালু নেই