মগবাজার ফ্লাইওভার চালু হচ্ছে ৩০ মার্চ
কথা ছিল ২৬ মার্চ উদ্বোধন হবে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একটি অংশ। সাতরাস্তা থেকে হলিফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত উড়াল সড়কের কাজও শেষ হয়েছে এরই মধ্যে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সময় না পাওয়ায় চারদিন পিছিয়েছে উদ্বোধন। আগামী বুধবার এই সড়কটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে উপরের সড়কের কাজ। স্থাপন করা হয়েছে সড়ক বাতি। সব মিলিয়ে গাড়ি ওঠা-নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত সড়কটি।
তবে উড়াল সড়কটির নিচের রাস্তা এখনও পুরোপুরি মেরামত হয়নি। উড়াল সড়কটি নির্মাণের সময় সড়কে পড়া কংক্রিটের স্তুপ এখনও রয়ে গেছে কোনও কোনও এলাকায়। তৈরি হওয়া কিংবা খানা-খন্দক মেরামত কাজও শেষ হয়নি পুরোপুরি। যদিও নির্মাণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যথাসময়ে নিচের রাস্তাটিও মেরামত করে দেবেন তারা।
প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম বলেন, ‘আগামী ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নিজেই ফ্লাইওভারটি উদ্ধোধন করবেন’।
মগবাজার মৌচাক উড়ালসড়কের কাজ চলছে তিনটি অংশে। আগামী জুনে বাংলামোটর থেকে মৌচাক অংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আর বাকি অংশ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ডিসেম্বরে।
মগবাজার-মৌচাক ও মৌচাক-হাজিপাড়া-কাকরাইল পর্যন্ত বিস্তৃত উড়াল সড়কটির কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালের নভেম্বরে। তবে নানা জটিলতায় সময় মতো কাজ শেষ করা যায়নি। পরে দুই দফা সময় বাড়ায় সরকার।
ভারতের সিমপ্রেকস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পাানি-এমসিসিসি ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন এই সড়কটি নির্মাণে কাজ করছে।
চার লেনের এই উড়ালসড়কে উঠানামার জন্য তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা (হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল) বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ও শান্তিনগর মোড়ে লুপ বা র্যাম্প রাখা হয়েছে।
এই উড়ালসড়কটি চালু হলে সাতরাস্তাা, মগবাজার, মৌচাক, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর এলাকার যানজট নিরসনের আশা করছে সরকার।
আগামী বুধবার সাতরাস্তা থেকে হলিফ্যামিলি পর্যন্ত ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন ছাড়াও সেদিন হাতিরঝিলের গুলশান অংশে পুলিশ প্লাজার পাশ দিয়ে নতুন একটি রাস্তারও উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এর ফলে গুলশান-বাড্ডা থেকে পুলিশ প্লাজার পাশ দিয়ে হাতিরঝিলের সঙ্গে সংযুক্ত হবেন সেখানকার বাসিন্দারা।
মন্তব্য চালু নেই