ভোটের অপেক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র আজ বেছে নেবে পরবর্তী চার বছরের জন্য তাদের নতুন নেতা; যার প্রভাব থেকে যাবে গোটা বিশ্বরাজনীতিতে। দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণা, নানা বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক, বাগযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হচ্ছে ভোটগ্রহণ।

এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ডেমোক্রেট হিলারি ক্লিনটন ও রিপালবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। আর ভোটে যিনি জিতবেন তিনি হবেন দেশটির ৪৫তম প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্র যখন তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে বিষয়টির অর্থ তখন কেবল একজন রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং এখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফও নির্বাচন করা হয়ে থাকে।

এবারের নির্বাচনকে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দেখা হচ্ছে। এর মূল কারণ, নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। নিজেজের প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রবাসীতে তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন দুই যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচনের তারিখ ৮ নভেম্বর বলা হলেও, আসলে এটি বেশিরভাগ আমেরিকানের জন্য ৮ নভেম্বর। কারণ, ৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট শুরুর আগেই লাখো ভোটার তাদের ভোট দিয়ে ফেলবেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে আগাম ভোটের নিয়ম রয়েছে এবং তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের দিনের আগেই ৪০ শতাংশ ভোট পড়ে যাবে। কোনো কোনো রাজ্যে আবার আগাম ভোট দেয়ার পর পরবর্তীতে সেই ভোট বদল করার সুযোগও রয়েছে।

মূল নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের পরিচালিত জনমত জরিপে দেখা গেছে হিলারি ক্লিনটনই এগিয়ে রয়েছেন। তিনটি প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্ক শেষেও দেখা গেছে একই চিত্র। অবশ্য শেষ মুহূর্তে হিলারির ই-মেইল কেলেঙ্কারি নিয়ে এফবিআই তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিলে নির্বাচনী পালে নয়া হওয়া লাগে। খুব অল্প সময়ে তদন্ত শেষে এফবিআই এতে অপরাধের কোনো প্রমাণ না পেলে হাওয়া আবার দিক পাল্টায়।

সব জল্পনা-কল্পনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ২৩ কোটি ভোটার এখন বেছে নেবেন তাদের পরবর্তী নেতা। এই নির্বাচনে হিলারি জিতলে তা ইতিহাস সৃষ্টি করবে। তিনি যেমন হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট, তেমনি ডেমোক্রেট দলও টানা তিনবার ক্ষমতায় গিয়ে গড়বে নতুন রেকর্ড। অন্যদিকে ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তিনি হবেন দেশটির সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট।



মন্তব্য চালু নেই