ভুয়া লেনদেন শনাক্তের উদ্যোগ সুইফটের
বিশ্বে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানের নেটওয়ার্ক সুইফট জানিয়েছে, ভুয়া পেমেন্টের নির্দেশপত্র শনাক্তে সহায়তা করবে তারা। এ জন্য তারা প্রতিদিন প্রতিবেদন পাঠাবে।
ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করতে হ্যাকাররা যে অবৈধ নির্দেশপত্র ব্যবহার করেছিল, তা যেন আর না হয়, সে জন্যই আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে গ্রাহকদের প্রতিদিন প্রতিবেদন পাঠাবে সুইফট।
এর ফলে লেনদেনে কোনো ভুয়া নির্দেশপত্র ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা গ্রাহক ব্যাংকগুলো দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
রয়টার্স অনলাইনের এক খবরে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সুইফটের মেসেজিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে প্রতিদিন শত শত কোটি ডলারের আন্তঃব্যাংক লেনদেন হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরিসহ আরো কিছু ঘটনা সামনে চলে আসায় সুরক্ষিত সুইফট মেসেজিং ব্যবস্থা নিয়ে আস্থার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সুইফট কর্তৃপক্ষ।
যেসব লেনদেনের নির্দেশপত্র সুইফট টার্মিনালের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা হবে, একটি প্রতিবেদন আকারে প্রতিদিন তা গ্রাহকদের কাছে পাঠানো হবে। ভুয়া কোনো নির্দেশপত্র থাকলে সহজেই তা শনাক্ত করতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।
সুইফটের প্রতিবেদনে আরো একটি বিষয় যুক্ত থাকবে। লেনদেনের ঐতিহ্যবাহী ব্যবস্থার বাইরে কিছু দেখলে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে সেগুলোও প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা হবে।
এ বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার ও গত বছর কলম্বিয়ার একটি ব্যাংক থেকে ১২ মিলিয়ন ডলার হ্যাক করার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সুইফটের মাধ্যমে ভুয়া নির্দেশপত্র পাঠানো হয় নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে। এ দুই ঘটনার ক্ষেত্রে রিজার্ভ চুরি হওয়ার বেশ কিছু দিন তা ধরা পড়ে।
সুইফট টার্নিমাল ব্যবহার করে পৃথক একটি চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের লেনদেনের তথ্য পাঠানো হবে। এতে করে হ্যাকাররা গ্রাহক ব্যাংকের টার্মিনালে ঢুকতে পারলেও গ্রাহক ঠিকই প্রতিবেদন পেয়ে যাবে।
বেলজিয়ামভিত্তিক সুইফট কো-অপারেটিভের কয়েকজন প্রাক্তন কর্মকর্তা বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঝুঁকি বেড়ে গেলেও সে তুলনায় তা মোকাবিলায় ধীরগতি দেখাচ্ছে তারা।
মন্তব্য চালু নেই