‘ভারত চায় সমালোচনা ছাড়াই আ.লীগ ক্ষমতায় থাকুক’

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত হাওয়ার্ড শেফার বলেছেন, ভারত চায় কোনো সমালোচনা ছাড়াই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকুক। ২০১৪ সালে যেভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন হয়েছিল এ কারণে তারা এর কোনো সমালোচনা করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইনষ্টিটিউট আয়োজিত ‘ ইন্ডিয়া অ্যাট দ্য গ্লোবাল হাই টেবিল : দ্য কুয়েস্ট ফর রিজওনাল প্রাইমেসি অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক অটোনমি’ শীর্ষক বই নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি মন্তব্য করেন। রোববার ভয়েস অব আমেরিকা এ তথ্য জানিয়েছে।

১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন হাওয়ার্ড শেফার। হাওয়ার্ড শেফার ও তেরেসিতা শেফার দম্পতির লেখা বইটিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখতে ভারত কিভাবে এগিয়ে চলছে, অন্যান্য বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কিভাবে দেশটির কৌশলগত ও পররাষ্ট্রনীতি বিবর্তিত হচ্ছে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে যে চারটি বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয় তা হচ্ছে, ভারতের অনন্যতা, তার জোট-নিরপেক্ষতা ও কৌশলগত অবস্থান সুদৃঢ় রাখার প্রয়াস, আঞ্চলিক প্রাধান্য বজায় রাখার প্রচেষ্টা এবং অতি সম্প্রতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।

হাওয়ার্ড শেফার বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর আমল থেকেই ভারতের পরিবর্তন লক্ষনীয়। ধীরে ধীরে উন্নতি লাভ করতে থাকে দেশটির অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রযুক্তিসহ অন্যান্য খাত। ১৯৯০ সালের পর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ভারতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটা অবস্থানে নিয়ে আসতে থাকে।

বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক তার সময়ে কেমন ছিল আর এখন কেমন সে প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এরশাদের আমলে স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল, তবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সবচেয়ে ভাল থাকে আওয়া্মী লীগ ক্ষমতায় থাকলে। এখনো তাই। খুব ভালো এবং শক্তিশালী সম্পর্ক এখন দুই দেশের মধ্যে। এখন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেড়েছে, যাকে শেখ হাসিনা বলছেন কানেক্টিভিটি।’

হাওয়ার্ড বলেন, ভারত চায় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকুক। তাই অর্থনীতিসহ তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সকল ধরনের সম্পর্ক উন্নয়ন করেছে।

তিনি বলেন, ‘একটি বিষয় বিশেষভাবে বলতে চাই, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের পার্থক্য হচ্ছে, ভারত চায় কোনো সমালোচনা ছাড়াই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকুক। ২০১৪ সালে যেভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন হয়েছিল তারা তারও কোনো সমালোচনা করেনি।’

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো ষ্টিফেন পি কোয়েনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, হাওয়ার্ড পত্মী তেরেসিতা শেফার্ড , মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের সাবেক দক্ষিন এশিয়া বিভাগীয় প্রধান ওয়াল্টার অ্যান্ডারসন ও কার্নগি এনডোওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট এশলি জে টেলিস।



মন্তব্য চালু নেই