ভারত কেন অস্ত্র ব্যবহার করছে না?

বিশ্বে অস্ত্র আমদানির তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারত। ২০১১ সাল থেকে এ অবস্থান ধরে রেখেছে দেশটি। প্রতিবেশী দেশ চীনকে টপকে অস্ত্র আমদানির বহর সাজিয়েছে ভারত। উদ্দেশ্য চীন ও পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির বিপরীতে শক্তি তৈরি করা।

এত সামরিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও চলমান ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনায় কেন দিল্লি সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে না- তা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের এক সদস্য বলেছেন, পাকিস্তানকে ভারত চিবিয়ে খেতে পারে। আরেক জন বলেন, পরমাণু হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে সক্ষম ভারত। এত শক্তি থাকলেও ভারত শুধু শক্তি প্রদর্শনের হুমকির মধ্যে সীমাবদ্ধ।

দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক রাহুল বেদী মনে করছেন, ভারতের ইচ্ছা হচ্ছে, প্রথমে মহাদেশভিত্তিক এবং পরে অঞ্চলভিত্তিক মহাশক্তিধর দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা।

তার মতে, ‘বিগ বয়’ হতে হলে সামরিক শক্তিতে সমৃদ্ধ থাকতে হবে। ভারত সামরিক শক্তির মাধ্যমে যুদ্ধে জড়াতে চায় না, বরং ভয় দেখাতে চায়। আরেকজন বিশ্লেষক সিমন ওয়েজিম্যান মনে করছেন, ভারত যেসব অস্ত্রের ফরমায়েশ দিয়ে রেখেছে, তাতে দেশটি আগামী কয়েক বছরেও বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে বহাল থাকবে।

ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের রাজনৈতিক বিজ্ঞানী সুনীল দাশগুপ্ত বলেন, ভারতের সামরিক নীতি হল, লক্ষ্যবস্তু ছাড়াই সামরিক শক্তি। এ নীতিতে পরিবর্তন আনার মতো শক্তি ও সাহস দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রয়েছে বলে মনে করেন দাশগুপ্ত। তিনি আরও বলেন, সামরিক মেজাজ, ভাবগাম্ভীর্যতা সবই মোদির রয়েছে। এমনকি সংযত থাকার শক্তিও তার রয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছে, পাকিস্তানের সঙ্গে ফালতু অস্ত্র ব্যবহার করে সামরিক সক্ষমতা থেকে চীনের নিচে নামতে নারাজ ভারত। গত কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সখ্য গড়ে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে দেশটি। ভারতের রয়েছে ১৩ লাখ ২৫ হাজারের অধিক সেনা। সামরিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জনবল ২১ লাখ ৪৩ হাজার। ফলে পাকিস্তানে যদি ভারত আক্রমণ করে তবে ফলাফল ভিন্ন হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।



মন্তব্য চালু নেই