ভারতে হাতির পিঠে চড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা

ভারতের রাজস্থান এবং গোয়াতে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষন হচ্ছে হাতি। হাতির পিঠে বসিয়ে পর্যটকদের একস্থান থেকে অন্যস্থানে ভ্রমন করানো হয়। কিন্তু যেই হাতিগুলো নির্বাকভাবে মানুষগুলোকে বহন করছে তাদের খেয়াল কয়জন রাখে। সম্প্রতি ভারতে হাতির পিঠে চড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটি পিটেশন দায়ের করা হয়েছে। আর এর জন্য রাজস্থান এবং গোয়ার কিছু পর্যটক কেন্দ্রকে কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।

পিটিশনে দাবি করা হয় মানুষকে বহন করার কাজে যে হাতিগুলো ব্যবহার করা তাদের দেখাশোনা ও উন্নত চিকিৎসার উপর কোন নজরই নেই কর্তৃপক্ষের। তীব্র গরমের মধ্যে হাতিগুলোকে একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে ঘুড়ে বেড়ানো হয়। বিশ্রামহীনভাবে চলা এই হাতিগুলোকে পথের মধ্যে পানি ছাড়া আর কিছুই খেতে দেয়া হয় না। ফলে অনেক হাতি বেশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। আর এখানেই শেষ নয় বিরতিহীনভাবে হাটার ফলে তাদের পিঠে বেদনাদায়ক ব্যথার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে আবার ব্যথায় মাঝপথেই বসে পড়ে। এতে করে তারা বেশিরভাগ সময় মানসিক ও শারিরীকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

ভারতে হাতিগ্রাম নামে একটি গ্রামে এসব হাতিদের দেখাশোনা করা হয়। কিন্তু তাদের আচরণ এই হাতিগুলোর সঙ্গে এত নির্মম যে, যেখানে আগে ১৩০ টি হাতি ছিল এখন সেখানে ৮০ টি হাতি আছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এই ব্যাপারে একটি পিটিশন দায়ের করা হলে আদালত তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। আর এই ব্যাপারে রাজস্থান এবং গোয়া সরকারকে চার সপ্তাহের সময় বেধে দেয়া হয়। বিচারক দিপাক মিসরা হাতিদের প্রতি নমনীয় এবং তাদের যথাযথ সুবিধা দেয়ার জন্য রাজ্য সরকারের প্রকি আহবান জানায়। অন্যথায় হাতির পিঠে চড়া বন্ধ হতে পারে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

এছাড়া সারা বিশ্বজুড়ে ৬৩ টি কোম্পানি ইতিমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা হাতির ছবি এবং হাতির পিঠে চড়ার প্রলোভন দেখিয়ে তারা আর কোন বিজ্ঞাপন বা এই জাতীয় কোন অফার দিবে না। আর এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে টিইউআই নেদারল্যান্ড, ইন্টারপিড ট্রাভেল, এপোলো, এবং আলবার্টস ট্রাভেল উল্লেখযোগ্য।



মন্তব্য চালু নেই