ভারতে সৌদি কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

ভারতে সৌদি দূতাবাসের এক কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন নেপালের এক নারী। ২০ বছরের ওই যুবতী এবং তার ৫০ বছরের মা নয়াদিল্লিতে ওই কূটনীতিকের বাড়িতে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। এপ্রিলে নেপালের ভয়াবিহ ভূমিকম্পের পর তারা ভারতে চলে আসেন এবং ওই কূটনীতিকের বাড়িতে কাজ নেন।

তাদের অভিযোগ, টানা গত ৪ মাস ধরে দুই মা মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন ওই কূটনীতিক এবং তার বন্ধুরা। এছাড়া তারা কূটনীতিকের স্ত্রী ও তার মেয়ের হাতেও নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের ভাষায়, ‘গত ৪ মাস আমাদের কাছে অভিশাপের মতো ছিল। ভেবেছিলাম ওই বাড়ির মধ্যেই মরে যাবো, আমাদের পরিবার কোনওদিন আমাদের দেহ খুঁজে পাবে না।’

সোমবার গুরগাওয়ের অ্যাম্বিয়েন্স আইল্যান্ড কাইট্রিওনা কমপ্লেক্সের ৬ তলা থেকে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হরিয়াণা পুলিস। নেপাল দূতাবাস ও মাইতি নেপাল ভারত নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যেই উদ্ধার করা হয় তাদের।

মাইকি ভারত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য বালকৃষ্ণ পাণ্ডে সংবাদ সংস্থা আইএএনএ‘কে জানান, ওই বাড়িতে আরও এক নারী কাজ করতেন। কিন্তু তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। ৬ মাস আগে নেপালের এক নারী সৌদি আরবে মোটা মাইনের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই মা ও মেয়েকে দিল্লি নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় ওই কৃটনীতিক ও কিছু অচেনা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তবে ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লি পুলিশ। তারা স্থানীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এনডিটিভি’কে জানিয়েছেন, তারা পুলিশের বিস্তারিত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। সৌদি দূতাবাসের সঙ্গেও এ নিয়ে তাদের আলাপ হয়েছে।

তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে সৌদি দূতাবাস।



মন্তব্য চালু নেই