ভারতে ‘বাংলাদেশি হিন্দুদের’ নাগরিকত্বের বিরোধী পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম
বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হিন্দুসহ ছাড়াও পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতের আশ্রয়প্রার্থী সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার।
তবে দেশটির পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিজেপি সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছে। এর মধ্যে আসামের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক আসাম গণ পরিষদ অন্যতম। আর পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃর্ণমূল কংগ্রেসসহ কট্টরপন্থী কয়েকটি সংগঠনও রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সরকার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন- ১৯৫৫ সংশোধনের যে পদক্ষেপে নিয়েছে এতে হিন্দু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব অনুমোদন দেওয়া হলে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় হিন্দুরা হুমকির মধ্যে পড়বে।
আসামের গণ পরিষদ ও ২০টিরও বেশি জাতিগত সংগঠন ভারতের জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার একটি স্বারকলিপি প্রেরণ করে। স্মারক লিপিতে প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন-২০১৬ সংবিধানের পরিপন্থি উল্লেখ করা হয়।
স্মারকলিপিতে আরও বলেন, আসামের ১৯৮৫ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে যে সকল অবৈধ অভিবাসী ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের পর আসামে প্রবেশ করেছে তাদেরকে বহিষ্কার করা।
আসাম জাতীয় প্রেসক্লাব ও ছাত্র ইউনিয়নের এক সদস্য সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন। ১৬ নভেম্বর সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে সংসদে একটি প্রতিবেদন পাঠানোর সিদ্ধান্তে আসার আহবান জানানো হয়।
গত জুলাইয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে বিজেপির নির্বাচনী দেওয়া প্রতিশ্রুতি, নাগরিকত্ব বিধিমালা সংশোধনী অনুমোদিত হয়। যা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ২০১৬ বিল মন্ত্রিসভায় উত্তোলন করেন।
সংশোধনী আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুদের ভারতে বসবাস করে র্দীঘমেয়াদী চাকরি করার অনুমতি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সংশোধনী আইনে ছত্রিশগড়, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের ২০ জেলার শরাণার্থীদের যারা দুই বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সাগুতা রায় বলেন, প্রস্তাবিত বিল বৈষম্যের কারণে তিন দেশ থেকে আশা হিন্দু সংখ্যালঘুদের তালিকাবদ্ধ করা এটা আমাদের সংবিধানে প্রস্তাবিত আইনে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা সর্ম্পূণ লঙ্ঘিত হয়েছে। এই বৈষম্যপূর্ণ আইনের সংসদে সরকারেরও বিরোধিতা করেন তিনি। সূত্র: দ্যা টেলিগ্রাফ
মন্তব্য চালু নেই