ভারতীয় বাহিনীর ৫ মারাত্মক গোপন অভিযান

বুধবার রাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপাশে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সার্জিকাল হামলা চালাল ভারতীয় সেনার স্পেশ্যাল ফোর্স। ধ্বংস করে দেওয়া হলও পাক অধিকৃত ভুখণ্ডে গজিয়ে ওঠা লস্কর-ই-তইবার সাতটি লঞ্চ প্যাড। খতম ৩৫ থেকে ৪০ জন ‘জঙ্গি’ ও দু’জন পাক সেনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়েছে পাক অধিকৃত ভূখণ্ডে প্রায় ২ কিমি ভেতরে ঢুকে চালান হয়েছিল এই হামলা। জঙ্গিবাদকে মদত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে বারবার বার্তা দিলেও তা মান্য করেনি তারা। ফলে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে এই হামলা দীর্ঘদিন মনে রাখবে পাক সরকার এমনই মনে করা হচ্ছে।

এবার দেখে নেওয়া যাক এর আগে এমন গোপনে শত্রু ঘাঁটিতে আর কবে কবে নিঃশব্দ হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা…

অপারেশন ব্ল্যাক টর্নেডো, ২০০৮: মুম্বই হামলার পরে ভারতের এনএসজি কম্যান্ডরা হেলিকপ্টার থেকে নেমে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল নারিম্যান হাউসে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের উপর৷ প্রথম দিনেই ৯ জন সাধারণ মানুষকে জঙ্গি কবল থেকে মুক্ত করেছিল তারা। এছাড়া তাজ হোটেল, ওবেরয় হোটেল ও ছত্রপদী শিবাজী টার্মিনাসেও প্রায় ৩০০ জন সাধারণ মানুষকে জঙ্গি কবল থেকে উদ্ধার করেছইল এনএসজি কম্যান্ডরাভ

অপারেশন বিজয়, ১৯৯৯: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে টাইগার হিলের দখন নিয়েছিল পাক সেনারা। সেই সময় ভারতীয় জওয়ান ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা বীরত্বের সঙ্গে সেই অনুপ্রবেশকারীদের দেশের ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করেছিল. শহিদ হয়েছিল বহু সেনা।

অপারেশন ক্যাকটাস, ১৯৮৮: তামিল ইলম পিপলস লিবারেশন অভ্যুত্থানের চেষ্টা করলে প্রেসিডেন্ট গাইয়ুম ভারত থেকে সহায়তা অনুরোধ করলে ভারতীয় বিমানবাহিনী মেল বিমানবন্দরে প্যারাশুট রেজিমেন্টের সৈন্যদের নিয়ে অবতরণ করেছিল।

অপারেশন পবন, ১৯৮৭: জাফনায় এলটিটিই জঙ্গিদের প্রতিরোধে শ্রীলঙ্কার সেনারা ব্যর্থ হলে তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল ভারতীয় সেনারা। ভারতীয় সেনার সাহায্যেই তিন বছরের চেষ্টার পরে শান্তি ফিরে আসে শ্রীলঙ্কায়।

অপারেশন মেঘদূত ১৯৮৪: শিমলা চুক্তি অনুযায়ী সিয়াচেন ভারত ও পাক দু’দেশই ব্যবহার করত। কিন্তু হঠাৎ করে সেই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে তা নিজেদের বলে দাবি করতে থাকে পাক সেনারা। তখনই ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে অপারেশন মেঘদূত অভিযান করা হয়। -কলকাতা২৪।



মন্তব্য চালু নেই