ব্রেস্ট ক্যান্সার সনাক্তকরণে ইলেক্ট্রনিক স্কিন
স্তনের একটি সিলিকন মডেলের ভেতর বিভিন্ন আকৃতির নিরেট বস্তু রেখে ইলেকট্রনিক স্কিনের সাহায্যে সঠিক আকৃতি নির্ণয়ে সক্ষম হন বিশেষজ্ঞরা।
ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের মধ্যে শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ নারীই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। এর মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ রোগীর বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। শতকরা ৫ ভাগের বয়স ৩০ বছরের নিচে। অন্যান্য ক্যান্সারের সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের একটা বড় পার্থক্য আছে। সঠিক সময়ে ধরা পড়লে এবং চিকিৎসা করা হলে এ রোগ থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। স্তন ক্যান্সার এমন একটি রোগ, যা চিকিৎসকের আগে রোগী নিজেই নির্ণয় করতে পারেন। একজন সচেতন নারী সহজে ও দ্রুত এটি ধরে ফেলতে পারেন।
স্তনে ক্যান্সার বাসা বেধেছে কি না তা সঠিকভাবে বোঝার জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তি হিসেবে ইলেকট্রনিক স্কিন নিয়ে এলেন চিকিৎসকেরা। স্তনের ভিতর কোন অতিরিক্ত পিণ্ড হয়েছে কি না তা অনেক সময় হাত দিয়ে বোঝা যায় না। কিন্তু ইলেকট্রনিক স্কিন সন্ধান দেবে সেই ছোট্ট পিণ্ডের। যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞানের অধ্যাপক রবি এফ সরফ ও চিউ ভ্যান নিগুয়েন জানান, স্তনের ক্যান্সার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে তা নিরাময় সম্ভব।
তারা আরও বলেন, সাধারণত পিণ্ডটা যদি ২১ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট হয়, তাহলে তা হাতে ধরা পড়ে না। কিন্তু ইলেকট্রনিক স্কিন খুঁজে বের করতে পারে তার থেকেও ছোট পিন্ড। ন্যানোপার্টিকেল ও পলিমারের সাহায্যে তৈরি এ প্রযুক্তি ৫ মিলিমিটার থেকে ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত ছোট পিন্ডও খুঁজে বের করতে সক্ষম। এর ফলাফল বিচারে সময় মতো চিকিৎসা শুরু করলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা ৯৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
মন্তব্য চালু নেই