ব্যানার-ফেস্টুন সরাতে আল্টিমেটাম ৩০ মে
রাজধানীতে সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, নিয়ন সাইন ও বিলবোর্ড না লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন উত্তরের মেয়র আনিসুল হক।
সোমবার গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। মেয়র বলেন, আগামী ৩০ মের মধ্যে এগুলো তুলে না নেয়া হলে যারা এগুলো লাগিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত শনিবার রাজধানীর ইনিস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সে জাতীয় পার্টির সম্মেলন হয়। এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে ব্যানার, পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছে দলটির নেতাকর্মীরা। এ জন্য মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ঢাকা নগরী সুন্দর করতে অনেক কাজ হাতে নিয়েছি। শোভা বর্ধনের জন্য ফুটওভার ব্রিজে গাছ লাগিয়েছি, অথচ তার উপর ব্যানার লাগানো হচ্ছে। দেয়াল পরিষ্কার করে রং করেছি তার উপর পোস্টার মারা হয়েছে। এমনকি গাছের গায়ে, ফ্লাইওভারের পিলারে পোস্টার মারা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। নিয়ম মেনে ব্যানার, ফেস্টুন স্থাপন না করলে নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৈফিয়ত নেয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মেয়র জানান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গত সিটি নির্বাচনে দক্ষিণের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাইফুজ্জামান মিলনের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করার জন্য রাজধানীর একটি থানায় গিয়েও ফিরে এসেছেন। থানার মামলা নেয়ার এখতিয়ার না থাকায় তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে যেতে বলেছে।
মেয়র বলেন, ১৭ মে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ব্যানার, ফেস্টুন লাগাতে অনুমতি নিয়েছে। রাজনৈতিক নেতারা সমাজের মডেল হবেন তারাই যদি গাছ, দেয়াল, ভবনে ব্যানার পোস্টার লাগান তা হলে জনগণের কাছে কী মেসেজ যাবে?
তবে দলটির মহানগরের কমিটি গঠন উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে স্থাপিত নেতাদের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুনের বিষয়ে মেয়র কোনো কথা বলেননি।
ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা বলেছেন, ফুটওভার ব্রিজে ব্যানার, পোস্টার না লাগাতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যারা এগুলো করছেন তারা আদালতের আদেশ অমান্য করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই