ব্যর্থ প্রেমের হতাশায় ১৪৪ জন যাত্রীকে মারলেন পাইলট?
ফ্রান্সের আল্পস পর্বতমালায় যাত্রীবাহী জার্মানির বিমানটি কো-পাইলট ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’বিধ্বস্ত করেন- এমন দাবি ফ্রান্সের আইনজীবীদের। তবে তিনি কেন এ কাজ করছেন, অকালে কেনইবা এত জনের প্রাণ নিলেন তিনি- এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন সবাই।
জার্মানির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ওই সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, অ্যান্ড্রিয়াস লুবিৎজ (২৮) নামের ওই কো-পাইলট বেশ শান্ত প্রকৃতির ও মিশুক ছিলেন। তবে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর হতাশায় ভুগছিলেন তিনি।
খবরে বলা হয়, বিমানটি বিধ্বস্তের জন্য কো-পাইলট দায়ী- এমন তত্ত্ব হাজির হওয়ার পর লুবিৎজকে নিয়ে তদন্ত শুরু করে জার্মান পুলিশ। লুবিৎজের ফ্ল্যাটে চার ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে তার প্রেমিকার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ পায় পুলিশ। ওই সম্পর্ক নিয়ে তিনি বেশ কিছু হতাশাব্যঞ্জক মন্তব্যও করেছিলেন এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে রাজি হয়নি। তবে সেখানে কোনো সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার তার বস স্বীকার করেছেন, তিনি ব্যথিত ছিলেন। কিন্তু তার বিমান চালানো উচিত হবে না- এমন কথা কখনো বলা হয়নি।
তিনি মানসিকভাবে ঠিক ছিলেন না- এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে তিনি কীভাবে শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষায় উতরে গেলেন তার নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের আইনজীবীরা ব্ল্যাকবক্স রেকর্ডার পরীক্ষা করে জানান, জার্মানউইংসের এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট আসন ছেড়ে কো-পাইলটের হাতে এর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেন। কিন্তু তিনি আর আসনে ফিরে যেতে পারেননি। বাইরে থেকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন পাইলট। এ সময়ের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি নিচে নামাতে শুরু করেন কো-পাইলট। বিমানটি আঁছড়ে পড়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জার্মানির ডুসেলডর্ফে যাওয়ার পথে ফ্রান্সের আলপস পর্বতে বিধ্বস্ত হয় জার্মানউইংসের বিমান এয়ারবাস এ৩২০। বিমানে থাকা ১৪৪ জন যাত্রী এবং দুই পাইলট ও চারজন অ্যাটেনডেন্ট সবাই নিহত হয়।
তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল।
মন্তব্য চালু নেই