ব্যবসায়ীদের অনশনে ককটেল হামলা

ব্যবসায়ীদের মারার জন্য এ হামলা : বিজিএমইএ

ব্যবসায়ীদের মেরে ফেলার জন্য অনশনে বোমা হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি আতিকুল ইসলাম।

শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিজিএমইএ ভবনের সামনে প্রতীকী অনশনে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ককটেল হামলার পর তিনি এ অভিযোগ করেন।

এর নিন্দা জানিয়ে আতিকুল ইসলাম রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে বলেন, ‘বোমা মেরে আমাদের কিছু করতে পারবেন না। আপনারা অসুস্থ রাজনীতি ছাড়ুন। বোমা মেরে ব্যবসা বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। আজকে ৪৪ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক পথে বসতে চলেছে। তাদের নিয়ে আমরা রাস্তায় বের হলে তখন কী করবেন। এর দায়িত্ব কে নেবে?’

তিনি বলেন, ‘আজকে দেশের এমন পরিস্থিতির কারণে বিদেশিরা চলে গেলে কাদের ক্ষতি হবে। এ দেশের ক্ষতি হবে। এ দেশের মানুষের ক্ষতি। আমরা ব্যবসা করতে চাই। আর এই ব্যবসা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন আপনারা। আপনাদের কারণে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে এর দায় কে নেবে। আমরা আর কোনো বোমাবাজি চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ অনশন করছিলাম, সেখানে বোমা মারা হয়েছে। তবুও আমাদের অনশন সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে।’

এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি এ কে আজাদ রাজনীতিবিদদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সমস্যা আপনারা সমাধান করুন, আমাদের ক্ষতি করবেন না। আমরা একবার রাস্তায় নামলে সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করব।’

বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘চলমান সংকট যত দিন সমাধান না হবে তত দিন আমাদের আন্দোলন চলবে।’

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এস এ কাদের কিরণ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি যেভাবে পারেন সহিংসতা বন্ধ করেন। এ দায়িত্ব আপনার, আমরা আপনাকে ট্যাক্স দিই। চলমান অস্থিরতা যত দিন থাকবে তত দিন আমরা বিদ্যুৎ বিল দেব না।’

গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাফেজ আলম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি যেভাবে হোক বন্ধ করুন। এটা সংলাপের মাধ্যমেও হতে পারে আবার আইনের মাধ্যমে হতে পারে। আমাদের নিরাপত্তা দিন।’

চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতিবাদে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে প্রতীকী অনশনে কাজ না হলে ধারাবাহিক কর্মসূচিসহ প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে অনশন থেকে ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা।

অনশনের আয়োজন করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ নিট ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) ও বিজিএমইএ।

অনশনে আরো অংশ নেন বিজিএমইএ সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, দ্বিতীয় সহসভাপতি রিয়াজ বিন মাহমুদ, এস এম মান্নান কচি, ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম, বিকেএমইএর ভারপ্রাপ্ত সহসভাপতি আসলাম সানি, বিটিএমইএর সভাপতি তপন চৌধুরী, বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি মোস্তফা গেলাম কুদ্দুস, প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জসিম উদ্দীন ও অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

 

ব্যবসায়ীদের অনশনে ককটেল হামলা
কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনের সামনে পোশাকশিল্প ব্যবসায়ীদের প্রতীকী অনশনস্থলে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন দুজন।

চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতিবাদে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে শনিবার বেলা ১১টা থেকে প্রতীকী অনশন শুরু করে সব পোশাকশিল্প ব্যবসায়ী সংগঠন। কর্মসূচি চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

কর্মসূচি চলাকালে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কে বা কারা অনশনস্থলে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম।

অনশনে বিজিএমইএ সভাপতিসহ অংশ নিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএ সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, দ্বিতীয় সহসভাপতি রিয়াজ বিন মাহমুদ, এস এম মান্নান, ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন, বিকেএমইএর সহসভাপতি আসলাম সানি, বিটিএমইএর সভাপতি তপন চৌধুরী, বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি মোস্তফা গেলাম কুদ্দুস, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জসিম উদ্দীন ও অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

প্রতীকী অনশনে কাজ না হলে ধারাবাহিক কর্মসূচিসহ প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেবে বলে ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দেন। ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি না মেরে রাজনীতিবিদদের সমস্যা রাজনীতি দিয়ে সমাধানের আহ্বান জানান তারা।

অনশনের আয়োজন করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ নিট ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) ও বিজিএমইএ।



মন্তব্য চালু নেই