বোরকা পরিহিত যৌনকর্মীর দখলে ওভারব্রিজ, বাধ্য হয়ে আইন ভঙ্গ করছে পথচারীরা
ঢাকার চাকা সচল রাখতে ব্যস্ততম মোড়ে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। শতাধিক ব্রিজের বেশির ভাগই হকার কিংবা ভিক্ষার্থীদের দখলে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার বন্ধ করতে এসব উদ্যোগ নগরপিতাদের।
পূর্বে উল্লেখিত দখলদারদের কথা মাথায় রেখে নিয়ম মেনে চলতে ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে দেখা যায় নতুন বিপদ। এরা কেউ হকার কিংবা ভিক্ষুক নন, কালো বোরকা পরিহিত যৌনকর্মী। মিরপুর এক নাম্বারের মোড়ে বড় ওভারব্রিজের এই চিত্র হর-হামেশা দেখা যায়।
ট্রাফিক পুলিশের সচেতনতায় ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে গেলে এই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়।মা তার ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে বাসায় ফিরতে এই পরিস্থিতির স্বীকার হয়।আবুল মজিদ নামে এক কলেজ ছাত্র জানায়, আমরা কয়েক জন বন্ধু মিলে ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলাম। একটু সামনে এগিয়ে ছিলাম বলে পেছনের দলের সাথে আমার যোগসূত্র বোঝা যাচ্ছিল না।এমন সময় একটা মেয়ে কালো বোরকা পরিহিত অবস্থায় আমার সামনে পথ আটকে দিল।
এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ওরা অনেকে দল বেঁধে পথচারীদের নানাভাবে বিব্রত করে। ততক্ষণে আমার বন্ধুরা আমার পাশে চলে আসে।ওদের সাথে পুরুষ সদস্যও থাকে যারা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাদেরকে সহযোগিতা করে, আমাদের মাঝে এক বান্ধবী খুব সাহসী সে ঐ নারীদের সামনে এসে কথার উত্তর দেয় এবং তার বদলে আমি সে অবস্থা থেকে রেহায় পায়। আমাদের দল দেখে আস্তে করে নেমে যায়।
প্রতিদিন এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ওভারব্রিজ পার হতে হয় চাকরিজীবী নারী রোজিনা বেগমের। সকাল ও সন্ধ্যা দুই বেলায় একই সমস্যায় সম্মুখীন হতে হয় এই নারীর। তিনি জানান, কি বলব ছেলে মেয়েদের নিয়ে খুব বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। সনি সিনামা হলের সামনেও এদের জমায়েত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই বিষয়য়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ২০০ টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের জেলের ভয়ে ৬০ অধিক বয়সী ইমতিয়াজ ২৪ ও ৩০ ফুট উঁচু ফুট ওভারব্রিজ পার হন প্রতিদিন। কিন্তু ওভারব্রিজে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে অন্য কোন পথ আছে কিনা এই বিষয়য়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জরিমানা অনেক ভাল, মিরপুর ১ নাম্বারের ওভারব্রিজ ব্যবহার করার চাইতে। কেমনে পার হবেন আপনি বলেন, যেখানে যেকোন মুহূর্তে বাজে পরিস্থিতির শিকার হতে পারে’।
সরেজমিনে দেখা গেছে শুধু মিরপুর এক নাম্বারের ওভারব্রিজ নয় ফার্মগেট এলাকায় এই সমস্যা দেখা যায় জনবহুল ঢাকায় শতকরা ৬০ বছরের অধিক বয়স্ক লোক বসবাস করে এবং দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ১২ ভাগ কোন কোনভাবে প্রতিবন্ধী।এসব মানুষের প্রতিদিন ৩০ অর ৩৫ ফুট উঁচু ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করা সম্ভব না তার পরও চেষ্টা করে দেশের আইন মেনে চলতে। দিনে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করা গেলেও রাতে ভয়াবহ রুপ নেয় এই ওভার ব্রিজ। কখনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ও ঘটে।
মিরপুর মাজার রোডের কর্তব্যরত্য পুলিশের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, এই বিষয়ে আমরা অবগত কিন্তু আমাদের দেখলে পালায়, প্রতিদিন অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা গিয়ে দেখি আমাদের যাওয়ার আগে চলে যায়। পথচারীদের দের সাথে মিশে থাকে, পুলিশের অবস্থান টের পেলেই পালায়।
মন্তব্য চালু নেই