শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকা স্বত্বেও

বে-আইনীভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে সরকারী টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

উপযুক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা না থাকা স্বত্বেও বে-আইনী ও বিধি বহিভূতভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে প্রায় ১৫ বছর সরকারী টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশাশুনির কাকবাসিয়া এলাকাবাসীর পক্ষে মো: রেজাউল করিম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশাশুনির কাকবাসিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা পদ শুন্য হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২০০০ সালের ২৬শে জুন দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে সময় চাকুরী প্রার্থী পারভীন সুলতানা স্বামী শিহাবুদ্দীন গাজী উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি থাকায় তিনি প্রচলিত বিধি মোতাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না ধাকা স্বত্বেও তঞ্চকতার আশ্রয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের নিকট প্রকিত তথ্য গোপন করে নিজ স্ত্রীকে উক্ত পদে গত ২৭/০৬/২০০০ তারিখে নিয়োগ ব্যবস্থা করেন।

পরবর্তীতে এলাকাবাসী নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক পারভীন সুলতানার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা এবং এইচ এসসিতে তৃতীয় বিভাগ পাশ করার বিষয় নিশ্চিত হয়।

এক পর্যায় এলাকায় সচেতন মহলের পক্ষে জনৈক মো: রেজাউল করিম বাদী হয়ে আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে গত ০৬/১০/২০০২ তারিখে উক্ত নিয়োগ বাতিলের দাবীতে দেওয়ানী ১৩৫/০২ নং একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় গত ৩১/০১/২০১১ তারিখে সহকারী জজ গৌতম মল্লিক বাদী রেজাউল ইসলাম করিমের পক্ষে রায় ঘোষনা করেন এবং নিয়োগ বাদিলেন আদেশ দেন। উক্ত আদেশের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষিকা পারভীন সুলতানা গত ০২/০৩/২০০১১ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী ২৬/১১ নং আপীল মামলা দায়ের করেন। উক্ত আপীল মামলাটি বিচারের জন্য জজ আদালতে হতে যুগ্ন জেলা জজ ২য় আদালতে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন পর সংশ্লিষ্ট আদালতে আপীল ২৬/১১ নং মামলাটি রায়ের জন্য প্রস্তুত হলে বিবাদী পারভীন সুলতানা উক্ত আদালতে ন্যায় বিচার পাবেন না মর্মে উক্ত মামলাটি সম এখতিয়ার সম্পন্ন অন্য যে কোন আদালতে বিচারের জন্য জেলা জজ আদালতে মিস-০২/১৪ নং একটি দরখাস্থ দাখিল করেন।

সম্প্রতি দরখাস্তটি নিস্পত্তি হওয়ায় এবং মূল আপীল মামলাটি বিচারের জন্য অতি:জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে পাঠনো হয়। কিন্তু শিক্ষিকা পারভীন সুলতানা বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে সংশ্লিষ্ট পদে বহল তবিয়তে চাকুরী করে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করে চলেছে।
এব্যাপারে সচেতন এলাকাবাসী মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।



মন্তব্য চালু নেই