বৃষ্টির পর প্রচন্ড গরম-যানজটে অতিষ্ট নগরবাসী

গত সপ্তাহে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছিল নগরবাসী। জলাবদ্ধতার রেশ কাটতেনা কাটতেই শুরু হয়েছে প্রচন্ড গরম। ইট, পাথর, বালু, সিমেন্ট ও কংক্রিটে ঘেরা ঢাকা রৌদ্রের তাপে উত্তাপ হয়ে উঠেছে। এতে গরম ও যানযটে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে রাজধানীবাসী।
বৃষ্টি থেমে গতকাল রোববার এবং আজ সোমবারের রৌদ্রের তাপে দুর্ভোগে পড়েছে নগরের বাস যাত্রী, রিকশা চালক ও সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ। নাগরিক জীবনে মানুষকে এই অসহ্য গরম উপেক্ষা করেই ছুটতে হচ্ছে নিজ কর্মস্থলে। ফলে যানযট ও ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে।
গত সপ্তাহে বৃষ্টির মধ্যেও গরম ছিল কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেটি অনুভব হয়নি। তবে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় এখন সেটা অনুভব করছে নগরবাসী। প্রচন্ড গরমে শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমতে থাকে। খানিক হাটাচলাতেই যেন তৃষ্ণায় বুক ফেটে যায়। তাই তীব্র গরমে কর্মব্যস্ত নগরবাসীর তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশেই গড়ে ওঠেছে বিভিন্ন ধরণের শরবত, কোমল পানীয় ও মৌসুমি ফলের ভাসমান দোকান। অনেকে ওইসব দোকানে গিয়েই পানির তৃষ্ণা মিটিয়ে নিচ্ছেন। কখনও আকাশে মেঘ দেখা গেলেও ভ্যাপসা গরম কমে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর আদাবরের বাসিন্দা সাদিয়া রহমান বলেন, বৃষ্টি কমে হঠাৎ করে গরম পড়ায় বেশ অসস্তি লাগছে। বাইরে বের হলে রৌদ্রের তাপে গরমে ঘেমে ভিজে যেতে হচ্ছে। তার উপরে প্রচন্ড যানযট তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে রাজধানীতে বসবাস করা এখন খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। সরকার দ্রুত নগরায়নের ব্যবস্থা না করলে খুব শীগ্রই ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
মন্তব্য চালু নেই