বৃষ্টিতে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি

ভারি বর্ষণের কারণে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে। রাজধানী ঢাকায় সকাল ১০টা থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় খানা-খন্দে ভরা রাস্তায় পানি জমে রাস্তা ও গর্ত সমান হয়ে গেছে। এতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে খুব ধীর গতিতে। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক থেকে শুরু হয়েছে যানজট। আর এ যানজটের প্রভাব গিয়ে পড়েছে বিভিন্ন মহাসড়কেও।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের মেঘনা সেতু থেকে শুরু করে দাউদকান্দি সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই যানজটে শত শত যানবাহন আটকে আছে। এতে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। অপর দিকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটেও সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের সারি। তবে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের নির্বিঘ্নে পারাপার নিশ্চিত করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও মাওয়া-জাজিরা নৌরুট পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে।

বুধবার থেকে এই দুই রুটে মোট ছয় দিন ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে বলে বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান জানান, ঈদের আগে পরে মোট ছয় দিন ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচামাল ও জরুরি শিশুখাদ্য বহনকারী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করে দেয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের জন্য পৃথক পৃথক লেন করা হয়েছে। এতে করে যানজট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তা ছাড়া একসঙ্গে সব গাড়ির চাপ পড়ায় পারাপারের জন্য গাড়িগুলোকে একটু বেশি সময় ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’

পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া নৌ রুটে আটটি রো রো (বড় ফেরি)। তিনটি কে টাইপ (ছোট ফেরি) ও পাঁচটি ইউটিলিটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

এদিকে বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের যাত্রী পারাপারের জন্য পাটুরিয়া ঘাটে ৩৭টি এবং মাওয়া ঘাটে দুইশ মোট ২৩৭টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই