রাজনের মাকে ‘বোন’ বানালেন সাংসদ কেয়া

নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে কিশোর সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা-মাকে সমবেদনা জানাতে সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেয়ালি গ্রামে গেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া।

বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি সেখানে যান। এ সময় তিনি সামিউলের বাবা শেখ আজিজুর রহমান ও মা লুবনা আক্তারকে সমবেদনা জানান।

তিনি সামিউলের মা লুবনা আক্তারকে বলেন, ‘আজ থেকে আপনি আমার আপন বোন। আমি মনে করব আমার আরেকটা বোন আছে, আর সেটা হচ্ছেন আপনি।’

সাংসদ কেয়া সামিউলের ছোট ভাইকে উপদেশ দিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে বলেন। সে যেন বড় হয়ে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা দেখতে পেলে প্রতিবাদে সোচ্চায় হয়, সেই উপদেশ দেন তিনি।

এর আগে সাংসদ কেয়া সামিউল হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি যেখানে সামিউলকে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে একটি ঘৃণা স্তম্ভ নির্মাণের দাবি সংসদে তুলবেন বলেও স্থানীয় লোকজনকে আশ্বস্ত করেন।

তিনি বলেন, মানুষ যাতে শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে সব সময় ঘৃণা প্রকাশ করে, সে জন্যই সামিউল হত্যাকাণ্ডের স্থানে একটি ঘৃণা স্তম্ভ নির্মাণের দাবি সংসদে জানানো হবে।

তিনি সামিউলকে শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক বলে উল্লেখ করেন।



মন্তব্য চালু নেই