বিশ্বের যেখানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই

অনেক রাষ্ট্রেই সাংবাদিক ও ব্লগাররা হামলার শিকার হচ্ছেন৷ রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্স ২০১৫ সালের ‘প্রেস ফ্রিডম ইনবক্স’-এ বিশ্বের ১৮০টি দেশকে তুলে ধরেছে৷ সেই ব়্যাংকিং-এ যে দেশগুলি সবচেয়ে পেছনে, এই ছবিঘরে থাকছে তাদেরই কথা৷

ইরিট্রিয়া
‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচিতে’ শেষ অবস্থানে রয়েছে ইরিট্রিয়া৷ পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে স্বৈরতন্ত্রের কারণে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে৷ অনেক সাংবাদিককে জোর করে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে৷ রেডিও ইরেনা একমাত্র গণমাধ্যম, যা ইরিট্রিয়ার নিরপেক্ষ সংবাদ প্রদান করে৷ তবে এটি প্রচারিত হয় প্যারিস থেকে৷

স্বৈরশাসকের স্বৈরশাসন
উত্তর কোরিয়াতেও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই৷ পুরো বিশ্ব থেকে দেশটিকে বিচ্ছিন্ন তরে রেখেছেন সে’দেশের স্বৈরশাসক কিম জং উন৷ তিনি যা চান, সেটাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়৷ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল ছাড়া তেমন কোনো গণমাধ্যম নেই৷ যে’সব ব্যক্তি তাঁদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করেন, তাঁদের রাজনৈতিক বন্দি শিবিরে রাখা হয় এবং এক সময় গুম করে ফেলা হয়৷ কখনো কখনো তাঁদের পরিবারের ওপরেও নেমে আসে বিপর্জয়৷

তুর্কমেনিস্তান
প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বেরডিমুহামেদভ প্রায় দেশের সবগুলো গণমাধ্যমের মালিক৷ সংবাদপত্র রিসগাল কেবল ভিন্ন৷ তবে এর প্রতিটি সংস্করণে রাষ্ট্রের অনুমোদন নিয়ে ছাড়পত্র মেলে৷ এছাড়া ইন্টারনেট এবং ওয়েবসাইটেও হস্তক্ষেপ করে সরকার৷

ভিয়েতনাম
ভিয়েতনামেও কোনো স্বাধীন গণমাধ্যম নেই৷ ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি বলে দেয় সাংবাদিকরা কী লিখবেন৷ বেশিরভাগ প্রকাশক, সম্পাদক এবং সাংবাদিক ক্ষমতাসীন দলের সদস্য৷ সম্প্রতি কয়েকজন ব্লগার কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমকে চ্যালেঞ্জ করলে তাঁদের জেলে পাঠানো হয়৷

চীন
রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্স বলছে, ব্লগার এবং সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বড় কারগারটি রয়েছে চীনে৷ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেউ কোনো সংবাদ প্রকাশ করলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়৷ এছাড়া বিদেশি সাংবাদিকদের উপর উত্তোরত্তোর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে চীনে৷

সিরিয়া
রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্স দেশটিকে গত কয়েক বছর ধরে মুক্ত গণমাধ্যমের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছে৷ বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর থেকে সিরিয়ায় অনেক সাংবাদিককে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ হত্যা করা হয়েছে অনেকককে৷ অন্যদিকে আল-নুসরা ফ্রন্ট, যারা ইসলামিক স্টেট এবং আসাদের বিরুদ্ধে লড়ছে, তাদের হাতেও বিপন্ন হতে হচ্ছে সরকারি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের৷ এছাড়া সাংবাদিকদের অপহরণের ঘটনাও ঘটে চলেছে অহরহ৷

সূত্র: ডিডাব্লিউ



মন্তব্য চালু নেই