বিশ্ববাজারে ফের কমছে জ্বালানি তেলের দাম
উৎপাদন কমানো নিয়ে সমঝোতা না হওয়ার বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ফের কমতে শুরু করেছে।
সোমবার এশিয়ার বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি কমে যায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় রেখে উৎপাদন সমন্বয় করতে গত রোববার উৎপাদক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক সদস্যদেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসে। কাতারের রাজধানি দোহায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ওপেক সদস্য ছাড়াও অংশ নেয় রাশিয়া ও কম উৎপাদনকারি আরো কয়েকটি দেশ।
আশা করা হচ্ছিল যে, তেলের উৎপাদন কমানো নিয়ে সমঝোতা হলে বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ফের উর্ধ্বমুখি হবে। ব্যারেল প্রতি দাম ২৬ থেকে বেড়ে হবে ৪০ মার্কিন ডলার। উৎপাদকদের মধ্যে সমঝোতা হয়নি, যা বাজার নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
বৈঠকের একদিন পর সোমবার কর্মদিবসের শুরুতে হংকংয়ের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম ৪ দশমিক ৯ শতাংশ কমে বিক্রি শুরু হয় ৩৮ দশমিক ৩৮ মার্কিন ডলারে। বেলা বাড়তে থাকলে দাম আরো কমে যায়। জ্বালানি তেলের দাম পড়ে যাওয়ার প্রভার পড়েছে শেয়ার বাজারেও। টোকিও শেয়ারবাজারে নিক্কি সূচক কমেছে ৩ শতাংশ, হংকং হেং সেং শেয়ারসূচক কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বিদায়ী বছরের শুরু থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী হতে শুরু করে। গত এক যুগের মধ্যে ব্যারেলপ্রতি দাম কমে দাঁড়ায় ২৮ মার্কিন ডলারে। বাজারে দাম আরো কমার শঙ্কার মধ্যেও উৎপাদন কমাতে রাজি হয়নি শীর্ষ উৎপাদকরা।
শীর্ষ দুই উৎপাদক দুই দেশ সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে বৈরিতার মুখে উৎপাদন কমাতে ওপেকের কোনো উদ্যোগ কাজে আসেনি। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রতাহারের পর উৎপাদন কমাতে রাজি করানো যায়নি ইরান উৎপাদন কমাতে।
ইরান জানিয়েছে, দৈনিক উৎপাদন ৪ বিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছানোর আগে এ নিয়ে কোনো সমঝোতা বৈঠকে তারা যোগ দেবে না। অর্থনৈতিক অবরোধে পড়ে তেলের বিক্রির যে হিস্যা তারা হারিয়েছে তা পুনরুদ্ধার পর্যন্ত থামাথামি হবে না।
ইরানের একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, উৎপাদন কমানো নিয়ে সমঝোতায় রাজি না থাকলে দোহায় ওপেক বৈঠকে প্রতিনিধি না পাঠাতে তাদের বলা হয়েছে।ওই সূত্র আরো বলেছে, ইরান নিজেদের অবস্থানে অনঢ়। দৈনিক উৎপাদন ৭ লাখ ব্যারেলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ইরানের।
মন্তব্য চালু নেই